ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: মেমারির চকদিঘি কৃষ্টি পাড়ার একটি বাড়ি থেকে বুধবার পুলিশ ৪৭ কেজি গাঁজা ও প্রায় ৪১লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় সংগীতা সাহানী নামে এক গাঁজা কারবারিকে। এই ঘটনায় শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে সকালে, ঠিক সেইসময় গাঁজার খোঁজে সুদূর আসানসোল থেকে এক খদ্দের এসে হাজির হলেন ধৃত সংগীতা সাহানীর বাড়িতে।
অবশ্য সেই খদ্দের নাকি এইসবের কিছুই জানতেন না। এমনকি কি কিনতে তিনি আসানসোল থেকে মেমারি এসেছেন জানতে চাইলে দাঁত বের করে হেসে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন প্রসঙ্গ। তিনি তার নাম বলেন জাকির হোসেন। যদিও যে রিক্সা করে তিনি এসেছিলেন গাঁজা কারবারির বাড়িতে, সেই রিক্সাওয়ালা স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রায়ই গাঁজা নিতে এখানে আসতেন। এমনকি এখানে যে গাঁজা পাওয়া যায় সেটাও অনেকদিন ধরেই মেমারির লোকজন জানে। তবে গতকাল যে এই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ সে ব্যাপারে তাদের কিছু জানা ছিলনা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে মেমারির এই গাঁজা কারবারের জাল জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের আরো কতদূর বিস্তৃত রয়েছে তা নিয়ে। মেমারি থানার পুলিশ সহ জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসারেরা ইতিমধ্যেই এই কারবারের বিস্তৃতি জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ধৃত সংগীতা সাহানিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় গাঁজা কারবার চলতো। প্রথমে সংগীতার বাবা এই কারবার চালাতো, পড়ে মা লালপরি সাহানি ছোট ছোট পুড়িয়া সরবরাহ করে কারবার চালিয়ে যেতো। কিন্তু লালপরি পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়ার পর সংগীতা এই কারবারের হাল ধরে নেয়। রীতিমত বিপুল পরিমাণ গাঁজা মজুত করে বর্ধমান শহর সহ বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করতে শুরু করে। পাশাপাশি নিজের বাড়ি থেকেও গাঁজা বিক্রি করতো সে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সংগীতা সাহানি কে এদিন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।