ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ব্লক প্রশাসনকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে শতাধিক সোনাঝুরি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল পঞ্চায়েত প্রধানের নিজস্ব অনুমতিতে। বেআইনিভাবে গাছ কাটার বিষয়টি জানাজানি হতেই রবিবার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে জানান এলাকার কয়েকজন। বিডিওর নির্দেশে গাছ কাটার কাজ আপাতত বন্ধ হয়ে যায়।

আর এই অভিযোগ পেয়েই রবিবার বর্ধমান বিভাগীয় বন দপ্তরের আধিকারিকের নির্দেশে একটি দল পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ ব্লকের নারুগ্রাম অঞ্চলের সিপটে এলাকায় পৌঁছায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ বিনা অনুমতিতে ইতিমধ্যেই ৪৭ টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই খোদ পঞ্চায়েত প্রধান কিভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারে তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়।
পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু মোল্লার নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন কামাল আনসারী।যদিও এ বিষয়ে নারুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে গোটা ঘটনাকে ঘিরে যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তার পাশাপাশি এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা যাতে ফেরত পাওয়া যায় তার দাবিও করেছেন গাছ কাটার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী কামাল আনসারী।