পশ্চিমবঙ্গ

রায়নায় পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

FOCUS BENGAL

FOCUS BENGAL

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো রায়না এক ব্লকে। দলের তরফে পাঠানো নামের পাশাপাশি অন্য নামও সভাপতি পদে প্রস্তাব হওয়ায় বোর্ড গঠনে অংশ নিলেন না খোদ বিধায়ক অনুগামী ১১ জন সদস্য। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া-র অনুগামী ১১ জন সদস্য বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন সভাকক্ষ থেকে বেড়িয়ে আসেন। রায়না ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বামদেব মণ্ডল সহ তার অনুগামী বলে পরিচিত মোট ১৩ জন সদস্য বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করে।

বিজ্ঞাপন

আর এরপরই ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক শম্পা ধাড়া। উল্লেখ্য, রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ২৪ টি। ২৪ টি আসনেই জয়লাভ করে শাসকদল তৃণমূল। এরপরই দেখা যায় বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ১৩ জন ও বিধায়কের নেতৃত্বে ১১ জন সদস্য আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে যায়। এখানেই তৈরী হয় জটিলতা। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়ার অভিযোগ, ব্লক সভাপতি দলের পাঠানো নামের পাশাপাশি অন্য জনের নামও সভাপতি পদে প্রস্তাব করেন দলীয় নির্দেশ না মেনেই।

পাশাপাশি তাঁর আরোও অভিযোগ, গতকাল রায়না গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান নির্বাচনে দলের পাঠানো নামের পক্ষে ছিলেন ব্লক সভাপতি। এমনকি প্রাক্তন প্রধানকে মারধরও করেন তার অনুগামীরা। এরই পাশাপাশি বিধায়ক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন সদস্যকে অপহরনের অভিযোগও তোলেন।

পাল্টা ব্লক তৃণমূল সভাপতি বামদেব মন্ডলের অভিযোগ, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বিধায়কের তরফে। বোর্ড গঠনের সময় দ্বিতীয় নাম প্রস্তাব হতেই আমি নিজেই বিরোধীতা করি।কিন্তু আমার কথা না শুনেই কয়েকজন সদস্য সভাকক্ষ থেকে বেড়িয়ে যান। বিধায়ক দলের কোনো নিয়মই মানেন না। পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে তিনি সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন। তার দৌলতেই সিপিএম পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে।’

বিজ্ঞাপন

Advertisement