টলমল পায়ে ড্যান্স বারে টাকা ওড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা! ভিডিও ভাইরাল, আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: ড্যান্স বারে নাচতে নাচতে নর্তকীর দিকে টাকা ছুঁড়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! এমনকি একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সেই নেতা রীতিমত টলমল করছেন নাচতে নাচতে। নেটিজেনদের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ওই শাসক দলের নেতা। যদিও এই ভিডিওটি কোন জায়গায় ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই জোর সোরগোল পড়েছে খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের অন্দরে ( যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ফোকাস বেঙ্গল)।

বিজ্ঞাপন

 

সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পেজে দাবি করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার নাম পচা ওরফে বিশ্বজিৎ পাল। বাড়ি কালনা -১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামেশ্বরপুর গ্রামে। তিনি কালনা ১ ব্লক তৃণমূল কমিটির সদস্যও বটে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রী শ্রাবণী পাল কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও।

তৃণমূলের কালনা ১ ব্লক সভাপতি শান্তি চাল এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,’ আমার পক্ষে এখনও ভিডিওটি দেখা সম্ভব হয়নি। ভাইরাল ভিডিওটি আপনারা দেখেছেন। তবে এব্যাপারে আরো অনেকে আমায় জানিয়েছেন। বিষয়টি সম্মন্ধে পার্টিকে অবগত করেছি। দলের কেউ যদি প্রকৃতভাবে এই ঔদ্ধত্ব দেখিয়ে থাকে দল তা বরদাস্ত করবে না। সেক্ষেত্রে দলের ওপরতলা থেকে যা নির্দেশ আসবে, সেই ভাবেই পদক্ষেপ করা হবে।’

এদিকে ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা জানতে বুধবার সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ পাল ও তার স্ত্রী শ্রাবণী পালের সঙ্গে সাংবাদিকরা মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বিফল হয়। দুজনের কেউই ফোন রিসিভ করেননি। এমনিকি এদিনই কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে গিয়ে শ্রাবণী পালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু সেখানকার এক বয়স্ক কর্মী জানান, গতকাল শ্রাবণী দেবী দপ্তর এলেও, আজকে আসেননি। এরপর সাংবাদিকরা চলে যান নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামেশ্বরপুর গ্রামে খোদ বিশ্বজিৎ পালের বাড়িতে। বিশ্বজিৎ বাবুর ভাইপো জানান, কাকা ও কাকিমা দুজনেই বাড়িতে নেই। কোথায় গেছেন বলতে পারবো না।

বিজেপির কিষান মোর্চার রাজ্য সম্পাদক সুভাষ পাল এই প্রসঙ্গে বলেন,’ আমি ভিডিও টি দেখেছি, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল দলের এই ধরনের নেতারা গতকাল কি ছিল আর আজ কি হয়েছে, এই ভিডিওই তার প্রমান। কত টাকা থাকলে তবে ড্যান্স বারে গিয়ে টাকা ওড়াতে পারেন। এদিকে এই নেতাই একদিন ছিটেবেড়ার ঘরে থাকতো, সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতো। সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে আজ ফুলেফেঁপে উঠেছে। এত টাকা কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই মদের আসরে, ড্যান্স বারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা উড়িয়ে ফুর্তি করছে। মানুষ দেখুক এদের কীর্তি।’

আরো পড়ুন