বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়–লেডিস হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা মহিলা কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের মধ্যে এক ছাত্রের দুর্ব্যবহারের শিকার হলেন তারাবাগ ক্যাম্পাসের ৫টি ছাত্রী নিবাসের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট লিলি আদিত্য। শুক্রবার সমস্ত ঘটনা লিখিত আকারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে পারা গেছে, বৃহস্পতিবার লিলি আদিত্য গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে তার বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেই সময় খন্দেকার আমিরুল ইসলাম ওরফে রামিজ নামে এক ছাত্র তার কাছে জানতে চায় যে, তিনি কেন হোস্টেলে পাঠানো চিঠি রিসিভ করেননি। এছাড়াও ঐ ছাত্র আরও জানতে চায়, মীরাবাঈ হোস্টেলে কেন দীর্ঘদিন ধরে এক ছাত্রীকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঐ ছাত্রীকে দুবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

লিলি আদিত্য অভিযোগ করেছেন, “একজন ছাত্র কিভাবে তার কাছে এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। কারন, তিনি জানিয়েছেন যেহেতু তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই একমাত্র তার কাছে কোনো কিছু জানার অধিকার রাখে।” তিনি আরও বলেন, “যে চিঠির কথা বলা হচ্ছে সেটি হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্টের নামে এসেছিল, সেই চিঠি রিসিভ করার অধিকার তার নেই। এমনকি যে ছাত্রীকে হোস্টেলে রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেখার বিষয়। সুতরাং, যে সমস্ত বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জানতে চাওয়ার অধিকার আছে, সে বিষয়ে একজন ছাত্র কিভাবে তাকে প্রশ্ন করতে পারে।”

লিলি আদিত্য জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি রীতিমতো অপমানিত ও আতঙ্কিত বোধ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যে ছাত্রের বিরুদ্ধে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট লিলি আদিত্য অভিযোগ করেছেন তিনি বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদকের পদে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অন্দরে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এবিষয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “অভিযোগ জমা পড়েছে, উপাচার্য বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।” অন্যদিকে যে ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ রামিজ জানান, “তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। কিছু পড়ুয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেই কারনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।”

আরো পড়ুন