রাজনীতি

রায়নায় দলেরই পার্টি অফিস দখল কে কেন্দ্র করে আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারপিট, গ্রেফতার ১০

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: রায়নায় দলীয় পার্টি অফিস দখল কে কেন্দ্র করে আবারো তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। মোগলমারি বাজারে অবস্থিত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কোন গোষ্ঠীর অধীনে থাকবে সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে রায়না এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বামদেব মন্ডল ও রায়না বিধানসভার বিধায়ক শম্পা ধারা গোষ্ঠীর লোকজন। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শম্পা ধারার গোষ্ঠীর লোকজন দলীয় কার্যালয়ে বসে নিজেদের মধ্যে গল্প করছিল, টিভি দেখছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডলের লোকজন মোগলমারি বাজারে দলীয় কার্যালয় টি দখল নিতে গেলে বাধা দেয় শম্পা ধারা গোষ্ঠীর লোকজন। তখনই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। তার পরই শুরু হয় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়না থানার অন্তর্গত সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ এবং রায়না থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। নামে র্্যাফ সহ আধা সামরিক বাহিনী।

রাতেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে দুটি গোষ্ঠীর মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়। জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে বিধায়ক গোষ্ঠীর শেখ রহমত(৪২), সেখ ইনামুল (৪৮), সেখ সোমেদ আলি (৪৩), সেখ স্বরুপউদ্দিন (২৬) ও সেখ নাসিম রাজ (২৪) রয়েছে। অন্যদিকে ধৃতদের মধ্যে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর সেখ লিয়াকত আলী (২২), সেখ মাসুদ আলী(২৫), রহিম মন্ডল(৫১), সেখ মসরত আলী(৫৩) এবং শেখ নুরুল হোসেন(৩২) রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বিধায়ক শম্পা ধারা আর রায়না ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বামদেব মণ্ডলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত রয়েছে। এর মধ্যে বিধায়ক গোষ্ঠীর দখলেই ছিল মোগলমারীর তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজন অফিসের দখল নিতে যায়। সেই দখল নিয়ে দুপক্ষের বচসা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকার তৃণমূল কর্মী মনোজউদ্দিনের দাবি অন্য পক্ষের অর্থাৎ ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর অনেকে আগে সিপিএম করত। কদিন আগেও বিজেপি করেছে। এখন হঠাৎ বাজার বুঝে দখলের রাজনীতি করতে চাইছে।

যদিও ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল বলেন, আমাদের দলে কোন গোষ্ঠী বলে ব্যাপার নেই। সবাই দলের সৈনিক। কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি থেকে সামান্য ঝামেলা হাতাহাতি হয়েছে। একই পরিবারে থাকতে গেলে এইসব হতেই পারে। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। দলের ১০জনকে অশান্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।