---Advertisement---

দুর্ঘটনার পর কর্তব্যরত পুলিশ কে মারধরের অভিযোগে বর্ধমানে গ্রেপ্তার দুই, আলোড়ন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: মদ্যপ অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে দ্রুতগতিতে চারচাকা গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুরের দিক থেকে বর্ধমানের তেলিপুকুরের দিকে আসার সময় ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি চারচাকা গাড়ি। গাড়িতে তিন জন ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গেছে। তেলিপুকুরে ২নং জাতীয় সড়কের গার্ড ওয়ালে ধাক্কা মেরে নিচে পরে ওই অবস্থায় রাস্তার পাশে একটি গুমতিতে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায় গাড়িটি। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ উদ্ধারের জন্য দ্রুত গাড়িটির কাছে পৌঁছলে গাড়ির ভিতরের চালক গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ বাধা দিলে অভিযোগ, এনিয়ে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে গাড়ির যাত্রীদের বচসা বাধে। সেই সময় পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করায় সিভিক ভলেন্টিয়ার অরবিন্দ সাঁতরাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। মারধরে তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার বিষয়ে কর্তব্যরত এএসআই জয়দেব কর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে সৌরদীপ পাঁজা ও অর্ণব পাঁজা নামে দুজনকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের বর্ধমান শহরের বাদামতলার রামকৃষ্ণপল্লির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানাগেছে ধৃতরা সম্পর্কে দুই ভাই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই ভাই ছাড়াও শহরের এক বিশিষ্ট ক্যাটারার ও হোটেল ব্যবসায়ীর ছেলের নামও এফআইআরে রয়েছে। পুলিস গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে।এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে শহরে।

See also  করোনা অবহেই প্যারোলে মুক্তি রাজ্যের ২৬ বন্দির, ব্রাত্য বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---