আদালতে মুখ পুড়ল পুলিশের, সাজানো ছিনতাইয়ের মামলায় বেকসুর খালাস আরামবাগ টিভির দুই সাংবাদিক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, আরামবাগ,বর্ধমান: বালি বোঝাই লরি থেকে পুলিসের টাকা নেওয়ার ছবি করায় আরামবাগ টিভির কর্ণধার সফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক সুরজ আলি খানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা রুজু হয়েছিল। সুরজকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতেও নিয়েছিল পুলিস। সেই মামলায় দু’জনকে শুক্রবার বেকসুর খালাস ঘোষণা করলেন বর্ধমানের সিজেএম চন্দা হাসমত। আইনজীবী সৈয়দ আশিক রসুল বলেন, দু’জনকে যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তা আদালতের রায়ে প্রমাণিত। অভিযোগে বিস্তর অসঙ্গতি ছিল। মামলা সাজাতে গিয়ে নানা ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল এফআইআরে। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অভিযোগকারীর বয়ানে নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এমনকি বিচারক তাঁকে হেফাজতে নেওয়ারও হুমকি দেন।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী বলেন, পুলিসের টাকা নেওয়ার ছবি করার জন্য দু’জনকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। আদালত দু’জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ২০ সেপ্টেম্বর ঘটনার কথা জানিয়ে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শেখ সাকিল। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি মোটর বাইকে চেপে বর্ধমান-আরামবাগ রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।

দিঘিরকোণের কাছাকাছি একটি জায়গায় একটি চারচাকার গাড়ির কাছে দু’জন লোক দাঁড়িয়েছিল। তারা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে টাকার ব্যাগ বের করে নেয়। ব্যাগে ৬ হাজার ৫০০ টাকা ছিল বলে তাঁর দাবি। এছাড়াও তা গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় ওই দু’জন। বাধা দিতে গেলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর লোকজন এলে একজন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। অপরজন গাড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে যায়। তাকে ধরে ফেলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সুরজ আলি খান। পরে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অভিযোগ পেয়ে পুলিস ছিনতাই ও অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা রুজু করে। সুরজকে আদালতে পেশ করে হেফাজতেও নেয় পুলিস। যদিও অভিযুক্তদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিস ৩৯২ ও ৪১১ ধারায় চার্জশিট পেশ করে। বারবার সমন দেওয়ার পরও সাক্ষ্য দিতে না আসায় সাকিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। সাক্ষ্য চলাকালীন অভিযুক্তদের আইনজীবীর জিজ্ঞাসায় কোন তারিখে, কখন ঘটনা ঘটেছিল সেটাই বলতে পারেন নি অভিযোগকারী। পুলিস তাকে সিজার লিস্টে সই করতে বলায় তিনি তা করেছিলেন বলে বিচারকের কাছে বয়ান দেন অভিযোগকারী।

আরো পড়ুন