বর্ধমানে খুনের চেষ্টার মামলায় আরো দুই পলাতক গ্রেপ্তার, তিনদিনের পুলিশি হেফাজত

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: নবমীর রাতে বর্ধমানের নীলপুর বাজার এলাকায় বাড়িতে ঢুকে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে বেধড়ক মারধরের পর প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক ৮জন আসামির মধ্যে ফের দুজনকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম নির্মল ঘোষ ও গোবিন্দ ঘোষ। তাদের বাড়ি বড়নীলপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। রবিবার রাতে এই দুই দুষ্কৃতিকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক ছন্দা হাসমত আসামিদের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেন। 

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য বর্ধমান পিএস কেস নং – ১১৫০/২০২২ এই মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই তন্ময় ঘোষ ও বাবাই কে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলাদের উপর হামলা, বিপজ্জনক একাধিক অস্ত্র নিয়ে সংগঠিত ভাবে হামলা চালানোর ধারায় মামলা করে গত ৫ তারিখে আদালতে পেশ করেছিল। তারপর থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরো আটজন কে পুলিশ ধরতে পারছিল না। এরই মধ্যে আসামি পক্ষের উকিল গত মঙ্গলবার পলাতক আসামিদের সকলকে আদালতে আত্মসমর্পন করিয়ে জামিন চেয়ে পুট-আপ দাখিল করেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে।

যদিও এই মামলার ওইদিন ডেট ছিল না। পরবর্তী তারিখের আগেই ওইদিন মামলার শুনানির জন্য ও বাকি আসামিদের জামিন চেয়ে পুট-আপ দাখিল করা হলেও বিচারক ওইদিন সেই পুট আপ গ্রহণ করেননি। ফলে কোনো শুনানিও হয়নি। আর এরপরই রবিবার রাতে বর্ধমান থানার পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্ত আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করল। যদিও গোবিন্দ দাসের নাম এফআইআর এ ছিল না বলেই আদালত সুত্রে জানা গেছে। তবে অভিযোগে নাম থাকা পরিমল ঘোষ, অতনু ঘোষ, ঋজু জামাই, কার্তিক ঘোষ, কালু গুহ, দীপক গুহ ও মঙ্গল দাস এই সাত জন এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী স্বপন ব্যানার্জী আসামিদের জামিনের আবেদন করলে অভিযোগকারীর আইনজীবী সুমিত রায় জামিনের জোরাল আপত্তি জানায়। বিচারক এরপর দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আসামিদের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত এর আদেশ করেন। এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

আরো পড়ুন