রমনাবাগানে ফের খুশির হাওয়া, দার্জিলিং থেকে এসে পৌঁছাল দু জোড়া নতুন অতিথি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সদ্য দুদিন হয়েছে বর্ধমান রমনা বাগানের আশ্রয় ছেড়ে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্কে চলে যেতে হয়েছে কৃষ্ণা কে। সেই ২০২১ এর এপ্রিল মাসে এই রমনা বাগানেই জন্ম নেওয়ার পর থেকে টানা আড়াই বছর ধরে কার্যত দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল এই চিতাবাঘ কৃষ্ণা। স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণার বিদায়ে বিষণ্ণতা ছেয়ে গিয়েছিল রমনা বাগান জুলজিক্যাল পার্কের আধিকারিক থেকে কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বুধবার ফের এই পার্কেই নতুন অতিথিদের আগমনে সেই বিষণ্ণতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠলেন সকলে। যদিও এখনই এই নতুন অতিথিদের রমনা বাগান অভয়ারণ্যে ঘুরতে আসা দর্শকদের সামনে আনা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে ফরেস্ট কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

ফরেস্টের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, খুব শীঘ্রই রমনা বাগানে বেশ কিছু পক্ষী জাতীয় প্রাণী আসতে চলেছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার সকালে দার্জিলিং এর পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান পার্ক থেকে দু জোড়া রঙিন সিলভার ফিজেন্ট এসে পৌঁছাল অভয়ারণ্যে। বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি মহিলা। এরা কেউই প্রাপ্তবয়স্ক নয়। এই মুহূর্তে রমনা বাগানে একটি মহিলা সিলভার ফিজেন্ট আছে। গত বছর একটি সিলভার ফি মারা গিয়েছিল। নতুন দুজোড়া পাখি আসাতে এখন সিলভার ফিজেন্ট এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচ টিতে।

বর্তমানে রমনাবাগান পার্কের আবহাওয়ার সঙ্গে কতটা স্বাভাবিক থাকতে পারছে এরা সেটা আগামী ২১দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মাঝে এদের খাদ্যাভ্যাস,  স্বাভাবিক আচরন এর কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় লক্ষ্য করার পরই এদের জন্য নির্দিষ্ট এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হবে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য।

বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, সিলভার ফিজেন্ট (Lophura nycthemera) হল একটি তিতির প্রজাতির পাখি যা পাহাড়ি এলাকার বনে পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীনের মূল ভূখণ্ডে, আর্জেন্টিনার নিউকুয়েনের নাহুয়েল হুয়াপি লেকের ভিক্টোরিয়া দ্বীপে এদের আধিক্য বেশি। এই প্রজাতির পুরুষরা কালো এবং সাদা ও মহিলারা প্রধানত বাদামী রঙের হয়ে থাকে। উভয় লিঙ্গেরই একটি লাল মুখ এবং লাল পা রয়েছে (এই চিন্হ এদের ধূসর-পাওয়ালা কলিজ প্রজাতির তিতির থেকে আলাদা করে)।

আরো পড়ুন