ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সপ্তাহের প্রথম দিনেই সোমবার সাত সকালে বর্ধমান শহরের দু প্রান্তে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। এরমধ্যে একটি দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ এক পথচারী প্রাণে বেঁচে গেলেও ওপর আরেকটি দুর্ঘটনায় মারা গেল ১১বছর বয়সী এক বালক। দুর্ঘটনা দুটির একটি ঘটেছে এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বর্ধমানের বের মোড় এলাকায় সদরঘাট রোডে। ওপর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ৮টা ০৫নাগাদ শহরের বাদামতলা মোড়ে জিটি রোডে।
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ খণ্ডঘোষের কেশবপুর থেকে বাবার মোটর সাইকেলে চেপে দেওয়ানদীঘির কাছে স্কুলে আসছিল ১১বছরের শেখ মন্তাশির। সদরঘাট রোড ধরে আসার সময় বের মোড়ের কাছে একটি চলন্ত বালির লরি মোটর সাইকেলের পিছনে ধাক্কা মারে। মন্তাশির বাইক থেকে ছিটকে পরে যায়। সেই সময় লরির চাকা তার ওপর দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় বাইক চালক শেখ আজমগীর। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বালকটিকে ও তার বাবা কে দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক শেখ মন্তাশির কে মৃত ঘোষণা করেন। বাইক চালক আজমগীরের হাতে চোট থাকায় তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন সকাল ৮টা ৫নাগাদ রেলের গুডস শেড থেকে একটি মাল বোঝাই লরি কার্জন গেটের দিকে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদামতলা মোড়ের কাছে সরাসরি ট্রাফিক কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় সিভিক শেখ আব্বাসউদ্দীন। এই সময় লরিটি একটি স্কুটি কেও ধাক্কা মেরে গাড়ি সহ চালক ছেঁচড়ে নিয়ে একটি ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সিভিক ভলেন্টিয়ার শেখ আব্বাসউদ্দীন ও স্কুটি চালক কৃষ্ণচন্দ্র দাস কে স্থানীয় ও পুলিশ দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার কে চিকিৎসক কলকাতায় রেফার করেন। পাশাপাশি কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের একটি পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
শেখ আব্বাসউদ্দীন আউশগ্রাম থানায় কর্মরত হলেও পুজোর জন্য বর্ধমানে ডিউটি করছিলেন। এদিন তিনি সকালে বাদামতলা মোড়ে ডিউটিতে ছিলেন। অন্যদিকে আহত কৃষ্ণচন্দ্র দাস পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার বাড়ি বিজয়রাম হরিনারায়নপুর। এদিন সকালে তিনি অসুস্থ বাবা কে দেখতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার একটি পায়ের নিচের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক লরিটি কে আটক করা হয়েছে। যদিও চালক পলাতক। অভিযোগ লরিটির কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। কিভাবে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই পণ্য পরিবহনের জন্য এই ধরনের একাধিক গাড়ি ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে চলাচল করছে দিনের পর দিন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।