ধর্ষনের মিথ্যা কেসে যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগে রাস্তা অবরোধ গ্রামবাসীদের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: ডাইনি বিদ্যার বলে আতঙ্ক ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই ধর্ষনের মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে এলাকার এক যুবককে, অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিতে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরই পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে নির্দোষ যুবককে মুক্তির দাবিও জানালেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত তাতারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, তাতারপুর গ্রামে রয়েছে প্রায় ১৩০ টি পরিবার, যার মধ্যে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওই পরিবারের লোকজন তন্ত্র মন্ত্র বিদ্যা জানে, আর ওই বিদ্যার বলে এলাকার ঘরে ঘরে অনেক সময় সাদা কাগজে বিভিন্ন চিরকুট পাঠাতো ওই পরিবারের কেউ না কেউ। সেখানে মাথার খুলি, হাড়, রক্ত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা থাকতো। যে ঘরে ওই চিরকুট দেওয়া হতো সেই পরিবারের কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তো। অনেক ক্ষতি হতো। অভিযোগ গ্রামে প্রায় তিন মাস ধরে নাকি এইরকম অমঙ্গল চলছে।

এলাকাবাসীর অধিকাংশের অভিযোগ, তারা হাতেনাতে একদিন ধরে ফেলে ওই পরিবারের একজনকে। পরবর্তীতে স্থানীয় মোড়লকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বারবার জানানো হয়েছে মেমারি থানাতেও। কিন্তু পুলিশও সেইরকম কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীর আরো অভিযোগ, ওই পরিবারের কেউ একজন নাকি আবার গ্রামের কোন এক বাড়িতে চিরকুট ফেলতে যাচ্ছিল তার ক্ষতি করার জন্য, তখন হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ অভিযুক্ত পরিবারেরটি বিরু মান্ডি নামে এক ব্যক্তির। এরপরই অভিযুক্ত পরিবার গ্রামের এক যুবক বাদল মালিকের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে মেমারি থানায়। শুক্রবার রাতে মেমারি থানার পুলিশ বাদল মালিককে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পরেই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আজ সকালে জি টি রোড অবরোধ করে দেয় তারা। গ্রামের মধ্যেই বিক্ষোভ করে গ্রামের মানুষ, তাদের অভিযোগ, বাদল মালিক কে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করছেন এলাকাবাসীরা। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবার আপাতত এলাকা ছাড়া। তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে ডাইনি,ভূত-প্রেত, তন্ত্রবিদ্যা সত্যিই কি বিশ্বাসযোগ্য, আদৌ কি মন্ত্র বলে কারো ক্ষতি করা যায়? পুলিশ অবশ্য গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরো পড়ুন