ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: শুক্রবার রাতে এসএফআই-টিএমসিপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ এলাকা। একে অপরের বিরুদ্ধে বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। সংঘর্ষে এসএফআই এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী সহ উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন জখম হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উত্তেজনা থাকায় রাত পর্যন্ত পুলিশ এলাকায় নজরদারি চালায়।
এসএফআই-এর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় বিবেকানন্দ কলেজের গেটের সামনে এসএফআই পূর্ববর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরীর পথ আটকে টিএমপির প্রায় ১৫-২০ জনের একটি দল। তারা রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে আক্রমণ চালায় অনির্বাণের ওপর।খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে এসে হামলায় রক্তাক্ত, জখম হন আরও বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী।মুহূর্তের মধ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। জখমদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
টিএমসিপি পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি স্বরাজ ঘোষের অভিযোগ, এদিন সকালে রাজ্য কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের এডমিশনের ভেরিফিকেশন চলছিল। সেখানে অশান্তি পাকানোর জন্য এসএফআই এর নামে কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী কলেজের ভিতরে পতাকা লাগাচ্ছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তার দেখাতে পারেনি। এরপর কলেজের গেটের বাইরে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের লিফলেট বিলি করতে শুরু করে তারা। প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পড়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর এদিন সন্ধ্যা নাগাদ বিবেকনন্দ কলেজের গেটে কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী চা খাচ্ছিলো।
সেই সময় অনির্বাণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত চা-এর দোকানে থাকা ছাত্রীদের কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করলে চা-এর দোকানে থাকা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বাঁশ, রড ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয় কিছু বহিরাগত হার্মাদরা। জখম হন বেশ কয়েকজন কলেজ ছাত্র। পরিকল্পিত ভাবেই অশান্তি ছড়াতে এই হামলা চালানো হয়েছে এসএফআই-য়ের নেতৃত্বে বলে অভিযোগ। যদিও এসএফআই এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় টিএমসিপির ছেলেরা অনির্বাণ এর ওপর হামাল চালিয়েছে। খবর পেয়ে দলের কিছু কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনির্বাণ কে বাঁচাতে গেলে টিএমসিপির ছেলেরা তাদেরও ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করে।