বর্ধমান মেডিক্যালের ফার্মাসির সামনে জমে এক গোড়ালি জল, নাকাল রোগী ও পরিজন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফার্মাসির (ওষুধের দোকান) সামনে থইথই করছে জল। এক গোড়ালি জলের ওপর দাঁড়িয়েই ওষুধ কেনার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগী থেকে পরিজনদের। এমনকি হাসপাতালের কর্মীদেরও এই জমা জল পেরিয়েই কাজকর্ম করতে হচ্ছে সারাদিন। কোথা থেকে এই জল এসে এখানে জমে থাকছে তার সদুত্তর কেউই দিতে পারছে না। ফলে ওষুধ কিনতে আসা সকলেই পায়ের জুতো হাতে নিয়ে জমা জলে দাঁড়িয়ে নাকাল হচ্ছেন। এই নিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের ওপর বাড়ছে ক্ষোভ। নিত্যদিনের এই সমস্যা কবে মিটবে, প্রশ্ন তুলছেন রোগী ও তাদের পরিজনরা।

বিজ্ঞাপন

বর্ধমান হাসপাতালের বহির্বিভাগের আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছে ফার্মাসি। বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পর রোগীরা এখান থেকেই ওষুধ কিনতে আসেন। সপ্তাহের রবিবার ছাড়া প্রতিদিন খোলা থাকে এই ফার্মাসি। প্রতিদিনই ওষুধ কেনার লম্বা লাইন পড়ে যায় ফার্মাসিতে। কিন্তু জমা জলে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগী ও পরিজনদের। হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে কর্মীদেরও। যদিও এই সমস্যা নিয়ে কোন কর্মীই মুখ খুলতে চাননি।

হাসপাতালে আসা এক রোগী সুজন কর্মকার বলেন, ‘ তিনদিন ধরে জ্বর আর সর্দি। গলায় ব্যাথা রয়েছে। আউটডোরে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিতে এসে দেখলাম ফার্মাসির সামনে প্রচুর জল জমে আছে। উপায় না দেখে জ্বর নিয়েই জলে দাঁড়িয়ে ওষুধ নিলাম।’ অপর এক রোগী মুসকান বিবি বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ওর চোখ ফুলে গেছে। ওষুধ নিতে এসে দেখি জল জমে আছে। একহাতে জুতো আর একহাতে ছেলে কোলে নিয়ে ওষুধ নিতে হলো। কিভাবে যে ওষুধ নিলাম সেটা চোখে না দেখলে বলা যাবে না।’

এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘ জল জমার সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শল্য বিভাগের আউটডোর এই কারণে সেখান থেকে সরানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ফার্মাসি বিভাগ রাধারানী ওয়ার্ডে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাধারানী ওয়ার্ডের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে ফার্মাসি বিভাগেরও কাজ শুরু হবে। সেই সময় ফার্মাসি কে ঢেলে সাজানো হব। রোগীদের বসার চেয়ার থেকে শুরু করে একাধিক ব্যবস্থা করা হবে।’

আরো পড়ুন