---Advertisement---

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আসলে কিসের ইঙ্গিত! সমাধান কি?

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েবকুপা)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্মেলন চলাকালীন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এসএফআই, আইসা এবং ডিএসএফ-এর মতো বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন, তখন তাঁর সঙ্গে যা ঘটল তা নিশ্চয়ই কোনো গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। গাড়ি ভাঙচুর, মন্ত্রীর ওপর আক্রমণ — এসব কি আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে আরও শক্তিশালী করল, নাকি প্রশাসনকে আরও কঠোর হবার সুযোগ দিল?

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, আন্দোলনরত ছাত্রদের অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ধরে কেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না? প্রশাসন কি ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে? নাকি শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে? সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, এই হিংসার মাঝে এক ছাত্র আহত হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায়। এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি প্রশাসনিক অব্যবস্থার একটি প্রতিচ্ছবি? শিক্ষামন্ত্রী যদি ছাত্রদের দাবিকে গুরুত্ব দিতেন, তাহলে কি এমন ঘটনা ঘটত? এরকম বহু প্রশ্ন উঠে আসছে। আর এইসব সমস্যা নিয়ে সবাই বলছে, কিন্তু কেউ সমাধান দিচ্ছে না।

সব মিলিয়ে, এটি একটি গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়। শিক্ষাঙ্গন কেবলমাত্র পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনের স্থান, এটি রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ের ময়দান নয়। দিন দিন ছাত্র আন্দোলন দলীয় রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে যাচ্ছে। এদের উচিত সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য লড়াই করা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা। আর তাই যদি না হয় তাহলে, শিক্ষার পরিবেশ আরও কলুষিত হবে এবং প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ছাত্র-ছাত্রীরাই। এই ঘটনাগুলি শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব এবং ছাত্র আন্দোলনের সীমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। পরিস্থিতি কি শুধুই রাজনৈতিক নাকি কিছু বেশি? নাকি গনতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার লড়াই? এইসব বিশৃঙ্খলার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে মূল সমাধান।

See also  মুখার্জী বাড়ির ২৬তম বর্ষ গণেশ জননী পূজা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো

ছাত্র সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।অন্যদিকে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এবং শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িচালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, সকল পক্ষের সংযম ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। তবে সবশেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় – এই অচলাবস্থা আর কতদিন চলবে এবং এর সমাধানই বা কবে হবে?

লেখক :– দেবরাজ সাহা, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি এবং কালচার স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---