ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অবৈধভাবে এলাকার পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ কাজ করার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করল বর্ধমান পুরসভা। খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই এই ঘটনায় বর্ধমান শহরের ১১নং ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মঙ্গলবার। স্থানীয়দের অনকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার সরকারি ছুটির সুযোগ নিয়ে সকাল থেকেই এই এলাকায় অবৈধ নির্মাণের কাজ চালাচ্ছিলেন বাপি দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। রীতিমত পুরসভার পাকা রাস্তা ভেঙে তার গা দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরী করার কাজ চালানোর পাশাপাশি এলাকার সর্দার পুকুর নামে একটি পুকুরের সামনের একটা অংশ প্রায় বুজিয়ে ফেলেছেন।
এলাকার লোকেরাই এই ঘটনার ছবি তুলে পৌর প্রধান তথা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পরেশ চন্দ্র সরকারের হোয়াটস্যাপে ছবি পাঠিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান। আর এরপরই পৌর প্রধান বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও অনান্য কর্মীদের ফোন করে ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত কাজ বন্ধ করার এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেন। পুরকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখে পুর প্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার কে সব জানান। পুরপ্রধান এরপর অবিলম্বে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলে পুরকর্মীরা সেই নির্দেশ বাপি দেবনাথ কে জানান। কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন।
অভিযোগ এরপরেও বাপি দেবনাথ নাকি কোন কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তার নির্মাণ কর্মীদের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পুরকর্মীদের জানিয়ে দেন কাজ বন্ধ করার অর্ডার কপি না দেখালে কাজ বন্ধ হবেনা। পুরকর্মীদের কাছ থেকে এই বিষয়টি জানার পরেই বর্ধমান থানার আইসি কে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন পরেশ সরকার। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরকর্মীদের নিয়ে বাপি দেবনাথ কে সমস্ত ধরণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশের দেওয়ার পাশাপাশি বুধবার সকালে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে পৌরসভায় যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।
পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে অবৈধ নির্মাণ ও পুকুর বোঝানোর ঘটনার কথা জানার পরেই আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশ কে জানিয়েছি। কাজ বন্ধ করেছি। পৌরসভা বুধবার খুললে বাপি দেবনাথ নামে ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে এফআইআর করা হবে। এলাকার মানুষ এই পদক্ষেপে খুশি। ‘ জগন্নাথ ওরফে বাপি দেবনাথ বলেন, ‘ যে পুকুর নিয়ে অভিযোগ সেটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যায় সমস্ত কাগজপত্র আমাদের আছে। আর তাছাড়া এদিন যখন পুরসভার কর্মীরা এখানে এসেছিলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার মা ছিলেন। আমি সব কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় দেখাবো। এরপরেও পুরসভা কাজ করতে না দিলে আইনের পথেই যেতে হবে আমাদের।’