---Advertisement---

অভিনব উদ্যোগ, মহিলাদের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল গুসকরা পুলিশ, রক্ত দিলেন ৭০জন মহিলা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গুসকরা: ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’ এই প্রাচীন প্রবাদ বাক্যকে যুগ যুগ ধরে সত্য প্রমাণ করে আসছেন আমাদের সমাজের নারীরা। এবার রীতিমত নজির সৃষ্টি করে ৭০জন মহিলা একসঙ্গে রক্তদান করলেন। মূলত প্রসূতি ও মুমূর্ষ শিশুদের রক্তের ঘাটতি মেটাতেই এই উদ্যোগ বলে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী মহিলাদের অনেকেই জানিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুলিশ বিট হাউসের উদ্যোগে এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগিতায় মঙ্গলবার কেবলমাত্র মহিলাদের এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য এই অভিনব উদ্যোগ সাম্প্রতিককালে জেলায় নজিরবিহীন বলেই বলেছেন জেলাবাসীর একাংশ।

বিজ্ঞাপন

এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, আউসগ্রাম -১নং ব্লকের বি.ডি.ও অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ও যুগ্ম বি.ডি.ও বিশ্বজিৎ দাস, গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জী ও ভাইস চেয়ারপার্সন বেলি বেগম সহ সমস্ত কাউন্সিলর, বিশিষ্ট সমাজসেবী মলয় পিট, সালেক রহমান, অরূপ সরকার, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, ডি.এস.পি (ডি এণ্ড টি) বীরেন্দ্র পাঠক, আউসগ্রাম থানার আই.সি উত্তম মণ্ডল, গুসকরা বিট হাউসের ও.সি অরুণ সোম সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সহ সিভিক ভলাণ্টিয়াররা। এদিন এই রক্তদান শিবির থেকে সংগৃহীত ৭০ ইউনিট রক্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত প্রয়োজনীয় ‘কিট’-এর অভাবে এদিন প্রায় ২০জন মহিলা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে এসেও ফিরে গেছেন বলে উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন। গুসকরা পুলিশ বিট ফাঁড়ির ওসি অরুণ সোম বলেন, ‘খুব শীঘ্রই আরো একটি শিবিরের আয়োজন করা হবে। তবে মহিলারা যে এইভাবে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে এগিয়ে আসবেন সেটা কল্পনা করা যায়নি। এমনকি আমি অনেক কে বারন করা সত্বেও উপোস অবস্থায় অনেকে এদিন রক্ত দিয়ে গেছেন। শিবিরের চিকিৎসকের অনুমোদন নিয়েই তাঁরা রক্তদান করেছেন। এই প্রয়াস আগামীদিনে অন্যদেরও রক্তদানের মতো মহৎ কাজে এগিয়ে আসতে সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

উদ্যোক্তা ও রক্তদানকারী মহিলাদের ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন – যেভাবে নিজেদের দৈনন্দিন কর্তব্য পালন করে পুলিশ আধিকারিকরা এই শিবিরের আয়োজন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে রক্তদান করতে আসা মহিলাদের সদিচ্ছার ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি।’ বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন,’ আজ আমার এলাকার পুলিশ ও রক্তদানকারী মায়েদের জন্য গর্ব হচ্ছে। আশাকরি ভবিষ্যতেও গর্ব করার মত আরও অনেক বিষয়ের সাক্ষী থাকতে পারব।
এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
See also  এভারেস্ট, লোৎসের পর বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট মাকালু (৮৪৮১ মিটার) জয় বাংলার পিয়ালীর
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---