ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দলীয় কর্মীদের গাঁজা কেসে, মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হচ্ছে। বিনা দোষে তাঁরা জেল খাটছেন। যেন মনে হচ্ছে গোটা মঙ্গলকোট জুড়ে গাঁজার চাষ আর গাঁজার কারবার চলছে। এত গাঁজা পুলিশ পাচ্ছে কোথায় ? মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে একথাই বলে গেলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
এদিন সিদ্দিকুল্লাহ জানিয়েছেন, গোটা মঙ্গলকোট জুড়ে ২২টি বৈধ বালিঘাট রয়েছে। কিন্তু সেই বালিঘাটগুলির একটি স্লিপ ব্যবহার করে শয়ে শয়ে গাড়ি বালি পাচার হচ্ছে। সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন সাফ জানিয়ে গেলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে কাজ করতে পারবেন না। তিনি স্বাধীন ভাবেই কাজ করতে চান। এব্যাপারে দলের উর্ধতন নেতৃত্বকেও তিনি জানিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন, এদিন তিনি পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির কাছে ৯ জনের তালিকা দেন। যাঁরা জেলে আছে। তাঁরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। অন্য কোনো দলের নয়। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিনিধিরা তাদের মামলা দিচ্ছে। মিথ্যা মামলায় তারা জেল খাটছে। অনেকেই এখনো ঘরছাড়া। তারা ভয়ে ঘর ঢুকতে পারছে না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন। দলকেও জানিয়েছেন।