---Advertisement---

অস্বচ্ছতা বা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যে কোনো কারুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল – স্বপন দেবনাথ

Souris Dey

Published

বিজ্ঞাপন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ত্রাণ নিয়ে কোনোরকম দলবাজি বা অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের গলায়। শনিবার বর্ধমান সংস্কৃতি এ্যানেক্স সভাকক্ষে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এই জেলায় ত্রাণ নিয়ে দলবাজি, রেশনের কুপন দেওয়া নিয়ে দলবাজি প্রভৃতি অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে 
মন্ত্রী এইভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 
স্বপন দেবনাথ এদিন বলেন, দলনেত্রীর সাফ নির্দেশ কোনোভাবেই দুর্নীতি বা অস্বচ্ছতাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দলের যে যতবড় নেতাই হোন না কেন দল তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির শুদ্ধিকরণের কোপে রাজ্যের প্রায় ৬০জন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ৬০ জনের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন ৩জন। যাদের মধ্যে একজন শ্রমিক নেতা, একজন যুব কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি এবং একজন পঞ্চায়েত প্রধানের নাম রয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। এদিন এই বিষয় নিয়ে স্বপনবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এটা দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে দলে কোনো দুর্নীতি বা অস্বচ্ছতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। 
বিশেষ করে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকেও জানিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই দলবাজি বরদাস্ত করা হবে না। স্বপনবাবুও এদিন সাফ জানান, এই জেলাতেও একইভাবে কেউ দলের নির্দেশের উর্ধে নয়। তিনিও যদি কোনো অন্যায় করেন তাহলেও দল তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী কিছু পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে লাগাতার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি। 
এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বপন দেবনাথ ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, দলের কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডু, জেলা পরিষদের মেণ্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, উত্তম সেনগুপ্ত, নারায়ণ হাজরা চৌধুরী, মিঠু মাঝি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস প্রমুখরা। স্বপনবাবু এদিন বলেন, মোদি সরকারের আমলে দুবার আবগারী শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। একদিকে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে সেই সময় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। ডিজেলের দাম পেট্রোলের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে ভারতবর্ষের মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। 
একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপি সরকারের দুমুখো নীতি নিয়েও এদিন রীতিমত সোচ্চার হন স্বপনবাবুরা। তাঁরা এদিন জানিয়েছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযানে ঘোষণা করেছে যে রাজ্যের যে জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক আছে সেখানেই এই প্রকল্প লাগু হবে। স্বপনবাবুর এদিন পরিসংখ্যা তুলে ধরে জানান, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলায় মোট ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলাতেই পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। অথচ বাংলাকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। 
স্বপন বাবু এদিন কার্যত বিজেপি সরকার নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বাংলাকে ক্রমাগত বঞ্চনা করে এই প্রকল্প লাগু করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের ৩টি জেলা এবং ওড়িশার ৪টি জেলা এই রাজ্যের নিরিখে করোনা পরিস্থিতির বিচারে পিছিয়ে থাকলেও তাদের বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই বঞ্চনা নিয়ে এদিন রীতিমত সরব হন তৃণমূল নেতৃত্বরা। একইসঙ্গে পিএম কেয়ারস ফাণ্ডের অস্বচ্ছতা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন স্বপনবাবুরা।
See also  বর্ধমানে রবিবার থেকে চালু হচ্ছে কোভিড-১৯ স্যাম্পেল কালেকশন কিয়স্ক, আগামী সপ্তাহ থেকে রেপিড টেস্ট
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---