২০০৭ সালের পর থেকেই সিপিএমকে কৌশলগত এবং মানসিকভাবে হারিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল – আইনুল হক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ২০০৭ সালের পর থেকে সিপিএম কার্যত হেরে গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস কৌশলগত ভাবে এবং মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলার সিপিএমকে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে প্রথমবার যোগ দিয়ে সদ্য তৃণমূলে আসা একদা সিপিএমের পরে বিজেপি নেতা আইনুল হক বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই স্বীকারোক্তি করলেন। 

বিজ্ঞাপন

সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হবার পর তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও বেশীদিন গেরুয়া শিবিরে থাকতে পারেননি। পরে দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার শেষে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে
তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপর থেকেই দলের অভ্যন্তরেই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক বিতর্ক। প্রকাশ্যে না হলেও দলের অভ্যন্তরেই একটি শিবির আইনুল হকের বিরোধিতায় নেমে পড়েন। পাশপাশি শহর ও জেলার একাধিক নেতা,কর্মীরা প্রতিদিনই আইনুল বাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

ফলে সেপ্টেম্বরে তিনি দলে যোগ দিলেও প্রকাশ্যে তিনি তৃণমূলের ব্যানারের সামনে এসে দাঁড়ালেন বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনুল হক বলেন, একসময়ের লালদুর্গ বলে পরিচিত এই বর্ধমানে সবাই জানতেন সিপিএমই শুধু জানে ভোট কি ভাবে করাতে হয়। সেই সিপিএমকেই ২০০৮ সালে মানসিকভাবে পরাজিত করে তৃণমূল। যার মূল হাতিয়ারই ছিল বুথে বুথে ভোটার লিষ্ট তৈরী। আইনুল হক এদিন বলেন, কিন্তু এখন কেন দলের নেতা-কর্মীরা ম্রিয়মান। সেই উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। আজও যদি তৃণমূলের কর্মীরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে দলের নির্দেশ মেনে কাজ করেন, কোনো বিরোধী দল এই রাজ্যে থাকবে না। 

 এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ ফের দলীয় নেতা-কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দল পদ কেড়ে নিলে কারোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। দল ক্ষমতায় থাকলে তবেই প্রত্যেকের অস্তিত্ব থাকবে। তিনি এদিন বলেন, এতদিন দাদার দল করেছেন। কিন্তু এবার তাঁদের প্রকৃত অর্থেই দিদির দল করতে হবে। দাদার দল নয়। পাশপাশি তিনি এও বলেন, দলের মধ্যে যাদের অভিমান, অভিযোগ রয়েছে তারা সরাসরি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন