ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার!পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মার্বেলের মেঝে সমৃদ্ধ বাড়ির ভিতরেও গোখরো সাপের বাস। কিভাবে, কোথা থেকে, কখন মূর্তিমান বিষধর ধোপদুরস্থ গৃহস্থের ঘরে ঢুকে পড়ল, বাড়ির কেউ টেরটি পর্যন্ত পেলো না – এই ভেবেই আতংকে আঁতকে উঠছেন বর্ধমান শহরের রাখাল পিরতলার বাসিন্দা সৌরজ্যোতি সরকারের পরিবারের সদস্যরা। এমনিতেই বর্ধমান শহর জুড়েই বিষধর সাপের বাড়বাড়ন্ত মারাত্মক বেড়েছে বলেই বনবিভাগ সূত্রে জানতে পারা গেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সাপ উদ্ধার করে নিয়ে আসছে বনদপ্তরের উদ্ধারকারী সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
এদিন অর্থাৎ রবিবারই শহরের তেলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা মিলন শর্মার বাড়ি থেকে একসাথে দুটি চন্দ্রবোড়া উদ্ধার হয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীরা তাঁর বাড়ির মধ্যে চেরাই কাঠের স্তুপ থেকে সাপ দুটিকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি বিজয়রাম ঘোষপাড়া এলাকার একটি ছিটেবেড়ার বাড়ির এজবেস্টারের চালে একটি গোখরো সাপ দেখতে পেয়ে বনবিভাগে খবর দেওয়ার পর কর্মীরা পৌঁছালে সাপটির হদিস পায়নি। তবে শহরের পুলিশ লাইনে কাছে রাখাল পিরতলার মতো এলাকায় পাকা একতলার বাড়িতে গোখরো উদ্ধার করে খোদ বনবিভাগের কর্মীরাই হতবাক হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের বাড়ির ভিতর থেকে বিষধরদের উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব যথেষ্টই বেড়েছে। তবে শীতের আগে সাপেদের স্বাভাবিক স্বভাব অনুযায়ী এরা শীত ঘুমে যাবার জন্য একটা জায়গা খোঁজে। উপদ্রব নেই এমন জায়গায় এরা ডেরা বাঁধে। কিছুদিন অন্তর কখনো সখনো বাইরে বেরিয়ে কিছু খাবার খেয়ে, রোদ পুইয়ে আবার সেই জায়গায় চলে আসে। এভাবেই মাস দু তিন কাটিয়ে দেয় সাপেরা। তবে গৃহস্থের বাড়ির কোলাহলের মাঝে, এমনকি পরিচ্ছন্ন জায়গায় কিভাবে এবং কেন এই বিষধরেরা ঢুকে পড়ছে তার সঠিক কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আর তাই গৃহস্থ কেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞমহল।