---Advertisement---

কালনায় নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ, ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চাপানতোর, চাঞ্চল্য

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ফের ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানা এলাকায়। এবার দশ বছরের এক নাবালিকাকে বাড়িতে একা পেয়ে গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালনার পূর্ব সাতগেছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে শ্রীপল্লি গ্রামে গতকাল রাত্রে হরিরাম কীর্তনের আসর বসেছিল। সেই সময় মোবাইলে চার্জ দেওয়ার অজুহাতে গ্রামেরই একটি বাড়িতে একজন নাবালিকা কে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে গ্রামেরই এক বিবাহিত যুবক সুব্রত হালদার বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ। 

বিজ্ঞাপন
আর এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ধর্ষককে ধরে ফেলে নির্যাতিতার মা। চিৎকার চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যায় পাড়ার প্রতিবেশীরাও। অভিযুক্ত কে ধরে শুরু হয় চড়-থাপ্পড় ও জুতো পেটা। সেই সময় সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ওই যুবক। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

আর এরইমধ্যে ধর্ষক কোন দলের নেতা বা কর্মী সেই নিয়েও শুরু হয়ে যায় টানাপোড়েন। যদিও নির্যাতিতা নাবালিকার মা অভিযুক্ত বিজেপির সমর্থক বলে সরাসরি দাবি করেছেন। এদিকে ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলই এরপর কালনা থানার সামনে জমায়েত হয়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকে। তারই মধ্যে এক মহিলা বিজেপি কর্মী থানায় ঢুকে হাঙ্গামা শুরু করে দেয়। 
হাঙ্গামা করার অপরাধে ওই মহিলা বিজেপি কর্মীকে আটক করে কালনা থানা পুলিশ। তারপর উভয় দলের কর্মী সমর্থকরা থানার সামনে জমায়েত করলে সে জমায়েত হটিয়ে দেয় কালনা থানার পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কালনা-২ ব্লকের বিজেপির ২০নম্বর জেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দাস নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় কালনা থানায় অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেবার দাবিতে স্বারকলিপি জমা দিয়েছে।
See also  একের পর এক সিলিন্ডার ব্লাস্ট, জতুগৃহ বর্ধমান! রমরমিয়ে বেআইনিভাবে চলছে গ্যাস কাটিংয়ের ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---