খুন করে দেহ ১৪দিন নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখলো খুনি, শেষে গ্রেপ্তার

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: খুন করে ১৪দিন ধরে খুনি নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিল প্রতিবেশীর দেহ। এতদিন কেউ টের না পেলেও ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ব্লকের উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের কুদরুকি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত কে। মৃত ব্যক্তির নাম কেষ্ট বাগদি(২৬)। খুনে অভিযুক্ত প্রতিবেশীর নাম উৎপল বাগদি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।
মৃতের দিদি মালতি বাগদি অভিযোগ করেছেন, গত প্রায় ১৪ দিন আগে অভিযুক্ত উৎপল বাগদি নিজের স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। সেই সময় কেষ্ট বাগদি উৎপল স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। আর তারপর থেকেই কেষ্টর কোনো হদিস তাঁরা পাচ্ছিলেন না। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি সহ নানান জায়গায় খোঁজখবর নিলেও কেষ্টর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর এরপর শুত্রুবার গলসি থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে কেষ্টর স্ত্রী। 
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুত্রুবার বিকেলে স্থানীয় বাদল হাজরা নামে এক ব্যক্তিকে উৎপল বাগদি তার বাড়ির সামনেই মারধর করছিল। সেই সময় প্রতিবেশীরা ঝামেলা থামাতে সেখানে গেলে উৎপলের বাড়ির ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ পায়। তারপর উৎপল কে ঘিরে ধরে প্রতিবেশিরা। খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়। এরপর পুলিশ এসে উৎপল বাগদির বাড়ির ভিতর থেকে গলার নলি কাটা পচাগলা একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি উৎপল বাগদিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ, কেষ্ট বাগদির নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই উৎপল বাগদির বাড়ির লোকেরাও পালিয়ে গিয়েছিল। মৃতের দিদি মালতি অভিযোগ করেছেন, এই খুনের সঙ্গে উৎপলের বাড়ির লোকেরাও যুক্ত। তাই খুনির ফাঁসির সাজা হোক। পাশাপাশি এই খুনের সঙ্গে বাকি যারা জড়িত তাদেরও কঠিন সাজা দেওয়া হোক। এদিকে, মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরনের জামা,প্যান্ট এবং জন্ম থেকে বাঁ হাতের তিনটি আঙ্গুল কাটা থাকায় সেই চিহ্ন দেখে বাড়ির লোক শনাক্ত করেন খুন হওয়া ব্যক্তিই কেষ্ট বাগদি। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  

আরো পড়ুন