জাতীয় সড়কে পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরি, তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: স্কুল খুলে গেছে। ইতিমধ্যেই নবম শ্রেণী থেকে জোরকদমে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই অন্যান্য ক্লাসগুলিও চালু হওয়ার মুখে। এমতবস্থায় স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য সরকারী বিনামূল্যে বই প্রদানও শুরু হতে চলেছে। আর কলকাতার সরস্বতী প্রেস থেকে সরকারী সেই বই আনতে যাবার পথে পুলিশের তোলাবাজির শিকার হলেন বর্ধমানের এক লরি চালক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে। 

বিজ্ঞাপন

পুলিশের এই দাদাগিরি ও তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে গাড়ি চালক থেকে সাধারণ মানুষও। বর্ধমান শহরের আঁজিরবাগান এলাকার বাসিন্দা লরী চালক সেখ নজরুল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তিনি সরকারী বই আনতে কলকাতার সরস্বতী প্রেসে খালি লরী নিয়ে যাচ্ছিলেন। বর্ধমানের ২নং জাতীয় সড়কের পালসিট টোলপ্লাজার কাছে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকান। সরকারী বই আনতে যাবার বিষয়টি তাঁদের জানালেও এক পুলিশ অফিসার তাঁর কথা শোনেননি। 

এমনকি তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা চাওয়া হয়। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর তিনি জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও করান। সেখান থেকে তিনি জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে জামালপুর থানা তাঁর কোনো অভিযোগই নেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই তিনি এই ঘটনায় জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রমুখদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। 

সেখ নজরুল জানিয়েছেন, যে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় তাঁকে মারধর করেন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন