নির্মল ঝিলের উপর চাপ কমাতে এবার নতুন বৈদ্যুতিক চুল্লী তৈরির উদ্যোগ বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: নতুন দায়িত্ত্বভার নেবার পর একাধিক বকেয়া কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বর্ধমান শহর লাগোয়া দামোদর নদের ধারে ১৬নং ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লী এলাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে বৈদ্যুতিক চুল্লী বসানোর কাজ। তৈরি করবে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও বর্ধমান দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

জনবহুল বর্ধমান শহরের একমাত্র শ্মশান নির্মল ঝিলের উপর চাপ কমাতে বর্ধমান শহর লাগোয়া অন্যত্র আরেকটি আধুনিক প্রযুক্তির শবদাহ করার জায়গা তৈরি করতে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন প্রাক্তন প্রয়াত বিডিএ-এর চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলী তা গুপ্ত জানান, একাধিক নতুন পরিকল্পনার গ্রহণের পাশাপশি আমাদের প্রাক্তন প্রয়াত চেয়ারম্যান ড. রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের বেশকিছু জনস্বার্থে গৃহীত উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা কে বাস্তব রুপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি অন্যতম। তিনি জানিয়েছেন, এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হলে বর্ধমান এক ও দুই ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত বর্ধমান এক ও দুই ব্লকে বড় কোন শ্মশান নেই। ফলে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হলে দুটি ব্লকের মানুষই শুধু নয়, দক্ষিণ দামোদর এলাকার বহু গ্রামের মানুষজনও উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ হয়ে গেছে। 

জানা গেছে, সেচ দপ্তর ও পূর্ত বিভাগের জায়গার উপর এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি হবে। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত জানান, প্রায় ৫ বিঘে জায়গার উপর প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হবে। প্রয়াত রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এই বৈদ্যুতিক চ্যুল্লী তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। সেটার বাস্তব রুপ পেতে চলেছে। এই বৈদ্যুতিক চুল্লি টি তৈরি হবে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সদরঘাটের সুকান্তপল্লীর কাছে। দামোদরের ধারে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসে এই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। এই প্রোজেক্টের জন্য ইতিমধ্যে জায়গা চিহ্নিত করে পরিদর্শন করে দেখা হয়েছে। এই চুল্লি তৈরির মূল উদ্দেশ্য বর্ধমান জেলার এক ও দুই ব্লকের এবং দক্ষিণ দামোদর এলাকার একাংশের মানুষকে আর দূরদূরান্তে তাদের আত্মীয় পরিজনদের শব দাহ করতে যেতে হবে না। আধুনিক পরিষেবার সঙ্গে হাতের কাছেই তাঁরা শব দাহ করতে পারবেন। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এই বৈদ্যুতিক চুল্লি এলাকার সৌন্দর্য্যয়ন করা হবে। একই সাথে এই এলাকায় একটি নাটমন্দির তৈরি করা হবে।  সেখানে হরিনাম সংকীর্তনের ব্যবস্থা করা হবে। আবার রোদ, জল, ঝড়ে শবযাত্রীদের যাতে অসুবিধায় পরতে না হয় তার জন্য বিশ্রামের জায়গা থাকবে। পাশাপাশি শ্মশান পর্যন্ত শব যাত্রীদের যাওয়ার জন্য তৈরি করে দেওয়া হবে প্রশস্ত রাস্তা।

আরো পড়ুন