ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: জেলাজুড়ে ফলাফল পরবর্তী হিংসা অব্যাহতই। এদিকে, একদিকে যখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় কড়াহাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, এমনকি কর্মীদের সংযত আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তার পরেও খেলা হবে শ্লোগান দিয়ে গোটা জেলা জুড়েই চলছে বিক্ষিপ্তভাবে তৃণমূলের হামলা। বুধবার তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফের আরও একজনের মৃত্যু হল। মৃতের নাম বলরাম মাঝি (২০)। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শ্রীপুরের বাসিন্দা।

টুম্পা মাঝি জানিয়েছেন, তাঁদের কেউই রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন। কিন্তু তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন এই সন্দেহে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোরতম শাস্তি দাবী করেছে তিনি। টুম্পা মাঝি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চাষাবাদ করেন। কোনো রাজনীতি করেন না। তাঁর ছেলে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত। টুম্পাদেবী জানিয়েছেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই গোটা শ্রীপুর গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁর বাড়িতে ঢুকে লুটপাট এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটলেও তাকে বিজেপি তৃণমূল আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান থানার নেড়োদিঘী, ভোতারপাড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই অপর একটি গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় কমল সেখ এবং সেখ আসাদুল নামে দুই তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খোদ তৃণমূলেরই একটি অংশ বর্ধমান ১নং ব্লকের জায়গায় জায়গায় এই হামলা চালানোয় তৃণমূলকেই বদনাম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলাকারীরাই বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান ১নং ব্লকের কপিবাগান এলাকায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। নেড়োদিঘীর এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪জনের নামে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।