এদিন সমিতির কর্মকর্তা সৈকত নেগেল জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে ক্যাজুয়াল কর্মীরাই কলেজের যাবতীয় কাজ করে আসছেন। কর্মীদের কেউ কেউ ৫বছর থেকে ২০ বছর ধরে কাজ করলেও তাঁদের বেতন এখনও ২০০০ থেকে ৬০০০ টাকা। চলতি অগ্নিমূল্য বাজারের পরিস্থিতিতে এই অর্থে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। এরই পাশাপাশি আজও তাঁদের সরকারী কর্মী হিসাবে কোনো স্বীকৃতি জোটেনি।
বঞ্চনার অভিযোগে রাজ্য সরকারের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে চলেছেন কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মীরা
বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: চাকরির নিরাপত্তা এবং সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর দাবীতে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়ীজ সমিতির সদস্যরা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন সরকারের কাছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান রাজ কলেজে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি সমিতির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারী দিয়ে জানানো হল, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা তাঁদের নির্দিষ্ট ৩টি দাবীতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। রাজ্য সরকারের কাছে বারংবার তাঁরা আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তাই সমিতির ১৭টি কলেজের ১৫০ জন সদস্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকার দাবী না মানলে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাবেন।
এমতবস্থায় একদিকে চরম আর্থিক সংকট, অন্যদিকে সামাজিক সম্মান না পাওয়ায় তাঁরা বাস্তবিকই চরম বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। অথচ বারবার রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা আবেদন নিবেদন জানিয়েছেন। খোদ কলকাতার রাজপথে শুয়ে পড়েও তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন টানা তিনদিন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কার্যত সদিচ্ছার অভাবের জেরেই এখনও তাঁদের এই দাবী পূরণ হয়নি।
আর তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার তাঁদের দাবী পূরণ না হলে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাবেন সকলেই। সৈকতবাবু জানিয়েছেন, মূলত, তাঁদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা ও স্বীকৃতি প্রদান, সুনির্দিষ্ট ও উপযুক্ত বেতন কাঠামো এবং ২০১৯ সালের রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা ৩৯৯৮এফপি২তে তাঁদের অর্ন্তভূক্ত করার দাবী জানিয়েছেন।