বর্ধমানে প্রতিভা আছে, নেই উপযুক্ত পরিকাঠামো, পিছিয়ে পড়ছে জেলার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা, সাইকে চিঠি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সদ্য অলিম্পিকে ব্যাডমিণ্টনে ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে ভারতবর্ষের মুখ উজ্জ্বল করেছেন পিভি সিন্ধু। অথচ খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলায় কেবলমাত্র সঠিক পরিকাঠামো যুক্ত মাঠের অভাবে জেলার বহু প্রতিভাবান ব্যাডমিণ্টন খেলোয়াড় চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন। বারবার এব্যাপারে আবেদন নিবেদন করেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি সঠিক পরিকাঠামো যুক্ত মাঠ। সোমবারই বর্ধমানের ঝিঙুটি এলাকায় সাই কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে এব্যাপারে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে পরিকাঠামোযুক্ত ৪ থেকে ৫টি ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরী করে দেবার দাবী জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন
জেলা ব্যাডমিণ্টন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. অরিন্দম বিশ্বাস সাই কমপ্লেক্সের আধিকারিককে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, বর্ধমান জেলায় বহু প্রতিভাবান ব্যাডমিণ্টন খেলোয়াড় রয়েছেন, কিন্তু অনুশীলন করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করার জন্য নেই উপযুক্ত মাঠ। ফলে অনুশীলনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করার মত ভালো জায়গা বর্ধমান শহর বা শহরতলীতে কোথাও সেভাবে নেই। অথচ ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বর্ধমান থেকে ইষ্ট জোন বিশ্ববিদ্যালয়ের টুর্নামেণ্টে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ক্যাপ্টেন হয়ে খেলেছেন রিনা বিশ্বাস। ২০১৯ সালে ইষ্ট জোন বিশ্ববিদ্যালয় টুর্ণামেন্টে খেলেছে বর্ধমানের স্নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারাও এখন চরম অনুশীলনের সমস্যায় ভুগছেন। 
অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁরা বর্ধমান সিউড়ি রোডের ধারে সাই কমপ্লেক্সে পাঁচটি ব্যাডমিন্টন কোর্ট যুক্ত ইন্ডোর স্টেডিয়াম করার দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরে কোর্ট কম্পাউণ্ডে রয়েছে আফতাব ক্লাবের ইন্ডোর মাঠ। কিন্তু তার পরিকাঠামো ভেঙে পড়ায় সেখানে অনুশীলন বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সেখানে একটি স্কুলভিত্তিক টুর্নামেণ্ট চলার সময় গুরুতর আহত হন সেখ মহম্মদ মুসকান নামে এক খেলোয়াড়। 
এছাড়াও রয়েছে লোকোতে একটি কোর্ট। কিন্তু সেখানেও সারা বছর নানান ধরণের কর্মসূচী থাকায় খেলোয়াড়দের অনুশীলন করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় বছর খানেক আগে তৎকালীন জেলাশাসক ড. সৌমিত্র মোহনের উদ্যোগে আফতাব ক্লাবের এই কোর্টকে সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কারণ সৌমিত্র মোহন নিজেও ব্যাডমিণ্টন খেলতেন।  উল্লেখ্য এখনো এই আফতাব ক্লাবের অন্যতম সদস্য জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু তারপরেও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের দুর্দশা কাটার তেমন কোনো সুরাহা কিছুই হয়নি।

আরো পড়ুন