ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:
বিজ্ঞাপন
বাড়ির সীমানায় পাঁচিল দিতে গেলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে দিতে হবে তোলা। না হলে তাঁকে নানান সমস্যার মুখে পড়তে হবে। বন্ধ করে দিতে হবে সীমানা বরাবর পাঁচিল তোলার কাজও। রবিবার সকালে বর্ধমান সদর ১নং ব্লকের রায়ান গ্রামের বাসিন্দা তথা বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য্যের এমনই এক ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে মানস ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে এই তোলা আদায়ের বিষয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন রায়ান গ্রামের বাসিন্দা টুটুল মাজিল্যা।
তিনি তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাড়ির সীমানা বরাবর পাঁচিল দিতে চলেছেন। কিন্তু এজন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন মানস ভট্টাচার্য। তাঁকে টাকা না দিলে তিনি কাজ বন্ধের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা সৃষ্টির চক্রান্ত করতে শুরু করেছেন। এমনকি তাঁর প্রাণহানির আশংকাও দেখা দিয়েছে বলে টুটুল মাজিল্যা অভিযোগ করেছেন। যে অডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে মানস ভট্টাচার্য্য সরাসরি জানিয়েছেন, টাকা দিতে না পারলে কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ টাকা না দিলে দল চলবে কি করে?
এদিকে এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পর মানস ভট্টাচার্য্যের কাছে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবেন কার পাঁচিল, কোথায় পাঁচিল, কিভাবেই বা পাঁচিল তোলা হয়েছে। যদিও তাঁর ফোনের মাধ্যমে অভিযোগকারীর টুটুল মাজিল্যার সঙ্গে কথোপকথনের যে অডিও ভাইরাল হয়েছে সে প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে গেছেন।
এদিকে রবিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে দলীয় একটি সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরকম কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এদিন এই সংস্কৃতি লোকমঞ্চে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের কর্মী এবং বর্ধমান আদালতের আইনজীবী কৈলাশ পাশোয়ান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এছাড়াও একসময় তৃণমূল নেতা এবং পরে বিজেপিতে যাওয়া সুজিত ঘোষও এদিন বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।