---Advertisement---

বর্ধমান পুরসভার ভোটে কারা টিকিট পাচ্ছেন! করোনা আবহে তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি খোদ বর্ধমান পুরসভা এলাকায় চলছে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। আদপেই কবে বর্ধমান পুরসভার ভোট হবে তা এখনও নিশ্চিত নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু করোনার বেলাগাম বাড়বাড়ন্ত সত্ত্বেও বর্ধমান পুরসভার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ চলছে জোরকদমেই। কারা কারা প্রার্থী হতে পারেন তা নিয়েও প্রতিদিনই পাড়ার মোড় থেকে চায়ের দোকানে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণও।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের সংরক্ষণ তালিকা অনুসারেই রাজনৈতিক দলগুলির পুরসভার প্রার্থী তালিকা তৈরী হবে। কিন্তু সংরক্ষণের ঠেলায় বিগত পুরবোর্ডের নির্বাচিত অনেকেই এবারে জিতে আসা ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। এই তালিকায় রয়েছেন খোদ শাসক তৃণমূলের খোকন দাস, খন্দেকার মহম্মদ শাহিদুল্লাহ, আল্পনা হালদার, মহম্মদ সেলিম, জয়ন্ত দত্ত, পরেশ সরকার, বিভুতোষ মণ্ডল এবং অরুপ দাস প্রমুখরা। এরই মাঝে ৩০ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত মারা গেছেন। এই ওয়ার্ডটি মহিলাদের সংরক্ষিত। ৩২নং ওয়ার্ডের সমীর রায়ও মারা গেছেন। মারা গেছেন ৩নং ওয়ার্ডের সেলিম খানও।

এদিকে, পুরভোটে প্রার্থী হবার জন্য ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়েছে তদ্বির তদারক। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস পুর কাউন্সিলার থেকে বিধায়ক হয়েছেন। এবারেও তাঁকে দাঁড়াতে গেলে অন্য ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি চলতি সময়ে বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডেই খোকন দাসের দাপট এখন তুঙ্গে। তাই অনেকেই মনে করছেন প্রার্থী তালিকায় খোকন দাসের প্রভাব থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কিন্তু তারই মাঝে বর্ধমান পুর এলাকায় খোকন দাস বনাম পুরসভার উপ পুরপ্রশাসক আইনুল হক অনুগামীদের লড়াই তুঙ্গে রয়েছে। ফলে আসন্ন পুরনির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির থেকেও ঘরের শত্রুদের নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতে হচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক মহল।

যদিও, এই ধরণের চিন্তা ভাবনা নেহাতই অমূলক বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জেলার একাধিক নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি। সেক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্ব যাঁদের উপযুক্ত মনে করবেন তাঁরাই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আগামীদিনের উন্নয়নের জন্য ভোটে লড়ার টিকিট পাবেন। কোনো সুপারিশ এবার গ্রাহ্য করা হবে না বলেই শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে বর্ধমান পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর সরকারী প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তিন বছরের অতিক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলী বসানো হয়েছে। 
২০১৮ সালের সংরক্ষণের নিয়মে বর্ধমান পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪ টি ওয়ার্ডই সংরক্ষিত আসনের তালিকায় রয়েছে। পুরসভার ২, ৭, ১০, ১৩, ১৭, ২০, ২৩, ২৬, ৩০ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ৩ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত তফশিলি জাতি মহিলাদের জন্য। তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে ১৬ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। তৃণমূল সূত্রে খবর, চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা রাজ্য নেতৃত্ব ঘোষণা করলেও এবারে প্রার্থী তালিকায় রাখা হতে পার যোগ্য ব্যক্তিদের।

গত পুরবোর্ডে একাধিক কাউন্সিলার কোনোরকম দায়িত্ব পালন করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিধানসভা ভোটে অনেক কাউন্সিলারই বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রচারে বা সক্রিয় ভূমিকায় ছিল না বলে অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁরা বাদ পড়বেন। অনেকেই দলবদলু তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন – এবারে তাঁরাও বাদ পড়তে পারেন। শোনা যাচ্ছে, হঠাত উঠে আসা এক নেতার স্ত্রীকে এবার টিকিট দেওয়া হতে পারে। এরই পাশাপাশি কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রয়াত নেতাদের আত্মীয়দের টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৩৫ আসন বিশিষ্ট বর্ধমান পুরসভা নির্বাচনে কে কোন ওয়ার্ডের টিকিট পেতে পারেন তা জানার জন্য এখনো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বর্ধমানবাসীকে।

See also  জামালপুরে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে পাচার, নড়চড়ে বসল জেলা পরিষদ
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---