বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার ১৯৪টি টিয়া পাখির ছানা, গ্রেপ্তার এক পাচারকারী

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পাচার করার আগেই ফের বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে ধরা পড়লো ১৯৪টি টিয়া পাখির বাচ্চা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাচারকারীকে। ধৃতের নাম কাশেম খান (৪৬)। বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদীঘির হরেরডাঙ্গা এলাকায়। বুধবার ভোর রাতে হাওড়া ডিভিশনের ক্রাইম প্রোটেকশন অ্যান্ড ডিটেকশন স্কোয়াডের একটি টিম আরপিএফ ইন্সপেক্টর শৈলেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে বর্ধমান রেল স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্মে তল্লাশি চালানোর সময় দুটি বড় নাইলনের ব্যাগ হাতে এক ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করে। ব্যাগ দুটি তল্লাশি করলে তার ভিতরে দুটি খাঁচায় মোট ১৯৪টি টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার হয়।

বিজ্ঞাপন

 শৈলেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, টিয়া পাখির বাচ্চা গুলোর বয়স আনুমানিক দশ দিন। বর্ধমানের দুবরাজদীঘির হরেরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কাশেম খান নামে এক ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে এই পাখির বাচ্চা গুলো নিয়ে আসছিলো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এদিন বর্ধমান বন বিভাগে খবর দেওয়া হলে আধিকারিক ও কর্মীরা পৌঁছে টিয়া পাখির বাচ্চা গুলোকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ধৃত ব্যক্তিকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকবার বর্ধমান স্টেশন থেকে দেশি টিয়া পাখি সহ পাহাড়ি ময়না ও অন্যান্য পাখি সমেত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া পাখিগুলোকেও। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাখি পাচারের সঙ্গে যুক্ত ধৃত ব্যক্তদের বেশিরভাগেরই বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদীঘি, হরেরডাঙ্গা, কেন্দুলি পুকুর এলাকায়। জানা গেছে, ভিন রাজ্য থেকে কম টাকায় এই সমস্ত পাখি নিয়ে এসে বিভিন্ন জেলায় সাপ্লাই করে বর্ধমানের দুবরাজদীঘি, হরেরডাঙ্গা, কেন্দুলি পুকুর এলাকার একটি চক্র। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ইদানিং পাখি পাচারের এই চক্র একটু বেশি সক্রিয় হওয়ায় রেল স্টেশন চত্বরে এবং প্লাটফর্মে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

আরো পড়ুন