বর্ধমান শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করল, বাড়ছে সুস্থতার হার, কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের করোনা ভীতি কি এবার তবে কাটতে চলেছে! স্বাধীনতা দিবসের দিন পর্যন্ত বর্ধমান শহরের ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাাশাপাশি করোনায় মৃত্যু এবং সুস্থতার হার সম্পর্কে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতেই আশার আলো দেখছেন শহরবাসী। জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া তথ্য অনুসারে বর্ধমান শহরে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সেই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় প্রতিদিন বাড়ছিল। এবার তা কমতে শুরু করেছে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় সুস্থতার হার ৭৪শতাংশের ওপরে।
গত ১০দিনের প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে ৬ আগষ্ট বর্ধমান শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩০ জন। ওই দিন পর্যন্ত মারা গেছিলেন মোট ২৭ জন। এরপর ৭ আগষ্ট আক্রান্ত হন ২৩ জন, মারা যান ২ জন। ৮ আগষ্ট আক্রান্ত হন ৪৭ জন, মারা যান ২ জন। ৯ আগষ্ট আক্রান্ত হন ২২ জন, মারা যান ১ জন। ১০ আগষ্ট আক্রান্ত হন ১১ জন, মারা যান ৩ জন, ১১ আগষ্ট আক্রান্ত হন ২৪ জন, মারা যান ১ জন। ১২ আগষ্ট আক্রান্ত হন ২৪ জন, কেউ মারা যান নি। ১৩ আগষ্ট আক্রান্ত হন ১৫ জন, এদিনও কেউ মারা যাননি। ১৪ আগষ্ট আক্রান্ত হন ২৩ জন, মারা যান ১ জন। ১৫ আগষ্ট আক্রান্ত হন ১১ জন আর মারা যান ১জন। 
অপরদিকে, এই ১০ দিনের গোটা জেলাতেই মোট আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হারও ক্রমশই উর্ধমুখী হতে শুরু করেছে। গত ৬ আগষ্ট মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২২৬ জন। সেদিন পর্যন্ত সুস্থতার হার ছিল মোট ৮৬০জনের। ১৫ আগষ্ট মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৬৬জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২৮০জন। স্বাভাবিকভাবেই গোটা জেলার পাশাপাশি শহরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকায় এবং একইসঙ্গে সুস্থতার হার দ্রুতই বাড়তে থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শহরবাসী থেকে জেলাবাসী। উল্লেখ্য, রবিবার জেলা প্রশাসনের করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় এদিন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪জন। তার মধ্যে বর্ধমান পৌর এলাকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২২জন। কোনো মৃত্যুর খবর নেই।

এদিকে, বর্ধমান শহরে জেলাশাসকের নির্দেশ অনুসারে রবিবার কার্যতই সমস্ত ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সবকিছুই বন্ধ থাকল। শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় জেলা প্রশাসন শহরের বাজার দোকান খোলা বন্ধের জন্য নতুন নিয়মও লাগু করেছেন। অনেকেই মনে করছেন জেলাপ্রশাসনের এই নির্দেশের ফলেই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যদিও বিভিন্ন বাজার বিভিন্ন সময়ে খোলা ও বন্ধ করা নিয়ে এবং রবিবার সম্পূর্ণ বন্ধের বিষয়ে শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যেই আপত্তি উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন, এই নিয়মের ফলেই যে সংক্রমণ আটকানো যাবে সেই বিষয়ে তাঁরা যেমন সন্দিহান পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসার যে প্রভুত ক্ষতি হচ্ছে সেই বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা। 

আরো পড়ুন