মঙ্গলকোট নয়, তবে তিনি বর্ধমানেই দাঁড়াতে চান বলে দলনেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন – সিদ্দিকুল্লাহ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলকোটে আমি দাঁড়াবো না – এটা নিশ্চিত করেই দলকে জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বর্ধমানে আমার নাড়ি পোঁতা আছে। আমি বর্ধমানের ছেলে। তাই বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই – সেরকমই দলনেত্রীকে জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলকোটের মাটি উত্তপ্ত। বীরভূম থেকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে – এসবই দলের নেতাদের কাছে তিনি জানিয়েছেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, দলনেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কে কোথায় দাঁড়াবেন। 

বিজ্ঞাপন
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেকুলার ফ্রণ্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন বলেন, তিনি জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ-এর রাজ্য সভাপতি। ফুরফুরা শরিফ কখনও রাজনীতির আখড়া ছিল না। তারা মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিল। কিন্তু বাইরে থেকে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ কখনও পীড় দেখে ভোট দেয়নি, দেবেও না। ভোট দেয় তাদের আইকন কে সেটা দেখেই। অপরিণিত খেলা হচ্ছে। তিনি এদিন বলেন, ৪০টা আসনে দাঁড়াবে বলছে। নিজের পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে না, সে গ্রীণ চ্যানেল পাড় করার কথা বলছে। মঙ্গলকোটে তিনি কাজ করতে পারেন নি বলে বেশ কিছুদিন ধরেই একথা বলে চলেছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এদিনও তিনি বলেন, তাঁর কাছে কোনো ঠিকাদার আসেনি। তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। 
এদিন সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বিধায়ক আমলে কি কি উন্নয়নের কাজ হয়েছে তারও খতিয়ান তুলে ধরেন সিদ্দিকুল্লা। জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলকোটে অনেক কাজ করেছেন। সম্প্রতি ৪টি চুল্লীর মধ্যে ৩টি করতে পারলেও একটি করতে পারেননি। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা ওই কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন জেলাস্তর থেকেই কাজটি ভালভাবে হোক। কয়েকটি জায়গায় আলোর কাজ এখনও হয়নি। নতুনহাটে একটি ৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মডেল লাইব্রেরী করা হয়েছে। হাইমাস্ক আলো দেওয়া হয়েছে এলাকায় বেশ কয়েকটি। সোলার লাইট দেওয়া হয়েছে। ২ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার কাজ করেছি। রাস্তা পানীয় জল, প্রাচীরের কাজ হয়েছে। মূল রাস্তার সঙ্গে সংযোগকারী ছোট ছোট রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। 
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে সরকারী লাইব্রেরী গুলিতে প্রায় ৩৮০০ শুন্যপদ রয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীণ লাইব্রেরীগুলিতে ১৫০০ এবং বাকিগুলি শহরাঞ্চলে। তিনি বারবার এই শুন্যপদ পূরণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সম্প্রতি এর মধ্যে ৭৩৮টি পদে নিয়োগের সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রীসভা। যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৫-৬০টি শূন্যপদেও নিয়োগ হবে। তিনি জানিয়েছেন, এজন্য ৬ থেকে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটিতে জেলা গ্রন্থাগার দপ্তরের আধিকারিক, সরকার মনোনীত প্রতিনিধি, সংখ্যালঘু প্রতিনিধি, তপশীলি জাতির প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

আরো পড়ুন