মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই কালনার তিন পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা: করোনার কারণে প্রায় দুবছর অনলাইনে পড়াশোনা করেছে ছাত্র ছাত্রীরা। মাঝে টেস্ট পরীক্ষার পর এবার সরাসরি জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার টেবিলে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে এবছর। প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি করে সিক রুম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা সেকেণ্ডারি দপ্তরের পক্ষ থেকে। 

বিজ্ঞাপন

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৯৯টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে। এবছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫,৪৪৯ জন। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখা ৩১৩১৪জন এবং ছাত্র ২৪১৩৪ জন। প্রসঙ্গত করোনার প্রকোপ কমে গেলেও বিধিনিষেধ মেনেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং করোনা ভ্যাক্সিনের সার্টিফিকেট সহ পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। যদিও স্কুলের তরফেও মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীরা এদিন এসে উপস্থিত হয়েছে।

অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে শাসকদলের পক্ষ থেকে এদিন বিভিন্ন স্কুলে প্রবেশের আগে শুভেচ্ছা জানানো হয়। গোলাপফুল, পেন, জলের বোতল দিয়ে পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা জানান প্রশাসনিক পদের কর্তা ব্যক্তিরা। অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্যও অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা করা হয় শাসকদলের পক্ষ থেকে। এদিন বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু বর্ধমানের সাধুমতি বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। এরকমই একটি অনুষ্ঠানে বর্ধমানের রায়ান উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধিত করতে হাজির ছিলেন বর্ধমান ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত।

পাশাপশি এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে পরীক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান ও বিধায়ক অলক কুমার মাঝিকে। এদিন জামালপুরের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন তারা।
বিধায়ক অলক কুমার মাঝি জানান, জৌগ্রাম হাইস্কুলে এবারে প্রথম পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে। তাই ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা ছাত্রদের উৎসাহিত করতে তাদের হাতে গোলাপ ফুল, কলম ও জলের বোতল তুলে দেওয়া হয়।

 এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো যানবাহন ব্যবস্থা করা হয়। যুব তৃনমূলের সদস্যরা প্রতিটি ব্লকেই এই উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের সহযোগীতাতেই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই অসুস্থ হয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তিন জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কে। এদের মধ্যে দুজন পরীক্ষার্থী হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিলেও একজন কিছুক্ষণ পরীক্ষা দিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর পরীক্ষা দিতে পারেনি।

আরো পড়ুন