সবুজ বাঁচাতে বর্ধমান ওয়েভ এর উদ্যোগে তিনশো তালচারা বপন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: তিনশো তালচারা বপন করে সবুজের অভিযান শুরু করলো বর্ধমান ওয়েভ। সোমবার বিকেলে হাটগোবিন্দপুরে এক অনাড়ম্বর কিন্তু ছিমছাম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হল ‘রূপসী বাংলার বিলুপ্তপ্রায় গাছ প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ’৷ এদিন হাটগোবিন্দপুরে এই প্রকল্পের সূচনা হল। সামাজিক দুরত্ব মেনে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম ও মেহবুব মণ্ডল,গাছ-মাস্টার অরূপ চৌধুরী, শিক্ষক জয়ন্ত বিশ্বাস সহ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনেক গ্রামবাসীই। 

বিজ্ঞাপন

এই প্রকল্পে এদিন তিনশো তাল- আঁটি বপন করা হয়। উল্লেখ্য, তালগাছের নানা উপকারিতা আছে। এর বিভিন্ন অংশ খাদ্য,পানীয়, জ্বালানি, হাতপাখা হিসেবে বা ঘর ছাইতে কাজে লাগে। ভূমিক্ষয় রোধ করে। আগামীদিনে কুল, খেজুর বা এই ধরণের গাছ প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেবার ভাবনা আছে ওয়েভ এর। 

বর্ধমান ওয়েভ এর পক্ষে পার্থ চৌধুরী, অরূপ লাহা, সুপ্রকাশ চৌধুরী প্রমুখরা জানান, এটি একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর আগে কোভিড সংক্রমণের সময়ে ও সারাবছর নানা কাজ তারা করেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে তাদের সহদ্যোগী ছিল বর্ধমান-২ পঞ্চায়েত সমিতি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী সংঘ।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা সবাই বৃক্ষ রোপণের সময় অন্য গাছের কথা ভাবি। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া অবলুপ্ত তালগাছের কথা কেউ ভাবি না। তালগাছে বড় কথা সেই অর্থে কোন খরচা লাগে না, যত্নও করতে হয় না। তালের আঁটি থেকে গরু,ছাগল বাঁচিয়ে দিব্যি সে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ায়।’ 

জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকে ভুল করে বলেন তালগাছে নাকি বাজ পড়ে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। তালগাছ খুব উঁচু হয় সেই কারণে তালগাছে বাজ পড়ে।আর আশপাশের এলাকার ঘরবাড়ি রক্ষা পায়। তাই এলাকায় যতবেশি তালগাছ থাকবে ততই সেখানকার ঘরে বা লোকালয়ে বাজ পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়।তাছাড়া তালগাছ ভূমিক্ষয় রোধ করে। ঝড় আটকায়।আর তালগাছের কোন কিছুই ফেলা যায় না। তালরস,মাড়ি সবই সুস্বাদু। তাই সকলেই এগিয়ে আসুন তালগাছ বপন করুন।’ এদিন বর্ধমান ওয়েভের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপস্থিত সকলেই।

আরো পড়ুন