সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান নেওয়ার দাবিতে গলসির মিলে ফের বিক্ষোভ চাষীদের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: সরকারি সহায়ক মূল্যে স্থানীয় এলাকার চাষীদের ধান নিচ্ছে না রাইস মিল, উল্টে বাইরের রাজ্য থেকে কতিপয় ব্যবসায়ী এসে ধান বেচে চলে যাচ্ছে গলসির একাধিক রাইস মিলে। আর এই অভিযোগ কে সামনে রেখেই গত তিনদিনে দুবার চাষীরা গলসির বিভিন্ন রাইস মিলের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন। বৃহস্পতিবারের পর শনিবার ফের গলসির ভদ্রেশ্বর মিলে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরলেন পারাজ ও শিড়রাই অঞ্চলের চাষিরা।

বিজ্ঞাপন

 এদিনও সকালে এলাকার বেশ কিছু চাষি ভদ্রেশ্বর রাইস মিলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিল কর্তৃপক্ষ আলোচনা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন কিছু বিক্ষুব্ধ চাষি মিলের ভিতরে ঢুকে এলাকার বাইরে থেকে আসা ধানের গাড়ি বের করে দেবার চেষ্টা করে। উত্তেজিত চাষীদের সঙ্গে মিল কর্তৃপক্ষ শেষমেষ কথা বলে এদিনই বিকেলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে চাষিরা ফিরে যায়। 

বিক্ষোভকারী চাষিরা এদিন অভিযোগ করেছেন, এই অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষকে এই মিলের বিভিন্ন দূষণের কারণে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। পাশপাশি মিলের ধুলো, ধোঁয়ায় এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে প্রতিদিন। এলাকায় চলাফেরা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের চোখে মিলের ছাই পরে সমস্যা তৈরি করছে। চাষীদের একাংশ জানিয়েছেন, এতো অসুবিধা সহ্য করে তাঁরা চাষাবাদ করে ধান উৎপাদন করছেন, তাহলে স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান না কিনে বাইরের ধান কেন কিনবে মিল।

অন্যদিকে মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চাষীদের অসুবিধার কথা তাঁরা প্রশাসনকে জানাতেই পারেন। প্রশাসন সব দিক খতিয়ে দেখে যেমন নির্দেশ দেবে তাঁরাও সেইমতো মিল চালাবেন। এছাড়াও তারা সিপিসি( central purchasing centre) র মাধ্যমে ধান কিনছেন। পারাজের চাষিদের ধান সরকার সহায়ক মুল্যে কিনে তাদের দিলে তারা তা নিতে রাজি আছেন। যদিও শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেখ আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, এবছর মিল কর্তৃপক্ষ গতবারের মতো সেই পরিমানে ধান নিচ্ছে না। ফলে কিছু চাষী ধান দিতে পারলেও বেশিরভাগ চাষী এখনো ধান বিক্রি করতে পারেননি।

আরো পড়ুন