শহরের একাধিক পুকুর থেকে সায়র বা বড় জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পর দেখা যাচ্ছে বিশাল পরিমাণে প্রতিমার কাঠামো থেকে পুজোয় ব্যবহৃত সামগ্রীও জলাশয়ের জলে ও পাড়ে পরে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক অতিমারীতে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, সরকার থেকে প্রশাসন বারবার পরিবেশ সচেতন হওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানালেও এক শ্রেণীর মানুষের অসচেতন কার্যকলাপ পরিবেশ কে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, কাঠ, বাঁশ, খড়, রং, রাংতা, ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি প্রতিমার কাঠামো জলের সঙ্গে মেশেনা। ফলে এসব দীর্ঘদিন জলে পরে থাকলে জলাশয়ের জল দূষিত হতে বাধ্য। স্বাভাবিকভাবেই জলাশয়ের জল দূষণের কবলে পড়ছে জলজ প্রাণী থেকে আশপাশের বসবাসকারী মানুষ। প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্বেও প্রতিটি পুজো পেরিয়ে গেলেও শহরের বড় জলাশয় গুলোতে দিনের পর দিন দেখা যায় এই ভাবেই দূষণ লীলা চলছে। শহরবাসীর একাংশ অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন, পুজো উদ্যোক্তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবেই। বাঁচবে পরিবেশ।