ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: চিকিৎসার গাফেলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ভাতাড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে মৃত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এনিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ভাতার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে,গত সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ প্রসব বেদনা নিয়ে ভাতাড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ভাতাড় থানার আড়া গ্রামের গৃহবধূ পূর্ণিমা দাস। ওইদিনই সকাল ৯ টা নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এটিই ছিল তাঁর প্রথম সন্তান। আড়াই কেজি ওজনের ওই শিশুটির জন্মানোর পর কোনও শারিরীক সমস্যা ছিল না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পূর্ণিমাদেবীর স্বামী সুশান্ত দাস জানান, গতকাল রাতে তিনি বাড়ি চলে যান । রাতে হাসপাতালে স্ত্রীর কাছে তার পিসি ছিলেন।
বুধবার তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। তাই এদিন খুব সকালে হাসপাতালে চলে আসেন তিনি। কিন্তু এসে দেখেন তাঁর ছেলের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, চোখে পিচুটি কাটছে। সঙ্গে সঙ্গে নার্সদের বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু নার্সরা জানান, সাড়ে আটটা, নটা নাগাদ ডাক্তারবাবু এসে দেখবেন। এদিকে ছেলের শ্বাসকষ্ট বাড়ছে দেখে নার্সদের বারবার অনুরোধ করা হয় যাতে তাঁরা এসে তাঁর ছেলের চিকিৎসা করেন।
সুশান্ত বাবু জানান, তারই মধ্যে নার্সরা বলেন, গরম জল এনে বাচ্ছার চোখ দুটো পরিস্কার করে দিতে। নার্সদের কথামত তাই করেন তিনি। তারপর ৭ টা নাগাদ ছেলের তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন আর থাকতে না পেরে ছেলেকে কোলে নিয়েই তিনি নার্সদের কাছে পৌঁছে যান। আর এরপরই নার্সরা জানায়, তাঁর ছেলে মারা গেছে। মৃত্যুর খবর ছড়াতেই ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয় হসপিটাল চত্বরে। এই বিষয়ে ভাতার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এই
ঘটনার বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও জানানো হয়েছে।