ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম মামুদপুর এবং বর্ধমান ১ব্লকের ভান্ডারডিহির সংযোগকারী খড়ি নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি আজও মেটেনি। এতদিন ফি বছরের বন্যায় কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেঙে বয়ে যেতো। চরম সমস্যার মধ্যে পড়তেন দু পাড়ের পশ্চিম মামুদপুর, বৈষ্ণবডাঙ্গা, রাজগাছি, গোপালনগর, সরিষাডাঙ্গা, ভান্ডারডিহি, খেরুর, ছাতনী, খরমপুর প্রভৃতি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।
বিজ্ঞাপন
ফলে এই অঞ্চলের মানুষকে চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে হতো। আবার বর্ষা আসন্ন। আর তার আগে পাকা সেতুর দাবি না মিটলেও সম্প্রতি সেচ দপ্তরের উদ্যোগে অস্থায়ী লোহার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরফলে চলতি বছরের বর্ষায় এলাকার মানুষের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছেন দুপারের বেশিরভাগ মানুষ। নদীর বুকে কংক্রিটের পিলারের উপর লোহার কাঠামো তৈরি করে বানানো হয়েছে সেতু। এখনও সেতুর নিচে কিছুটা কাজ বাকি আছে। বর্ষার আগে সেই কাজ সম্পূর্ন হয়ে যাবে বলেই সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
সেচ দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার আগেই সেতুটি কাজ শেষ করে চালু করা হবে। এরফলে, ভারী যান চলাচল সম্ভব না হলেও ছোট যান বা পায়ে হেঁটে পারাপার করতে পারবেন বাসিন্দারা। আপাতত, পাকা সেতুর পরিবর্তে লোহার সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত পাকা সেতু নির্মাণ হচ্ছে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করবেন মানুষ। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশিথ মালিক বলেন,” এটি মন্তেশ্বর ও বর্ধমান উত্তর বিধানসভার মধ্যবর্তী এলাকা। এই জায়গায় একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই পাকা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”