বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরে বিভিন্ন বাজার খোলা ও বন্ধের বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন কর্তৃক কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই জেলার একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে নতুন সময়সীমা সম্বন্ধীয় একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় চরম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলো শনিবার। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার বা রবিবার থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারের খোলা ও বন্ধের নতুন কোনো নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি খোদ বর্ধমান পৌর এলাকায় প্রতিদিন যেভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে রাস্তাঘাট, বাজার ও দোকানে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছিল। গত দুদিন আগে এই সংক্রান্ত বিষয়ে খোদ জেলাশাসক বিজয় ভারতী একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। তাদের মতামতও শুনেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানান নি তিনি। আর এরই মধ্যে নতুন সময়সীমা চালু হতে চলেছে বলে একটি পোষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বেশ বিপাকে পড়েছেন আপামর ব্যবসায়ী মহল।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে এই পোস্টের বিরোধিতা করে এবং সাধারণের সুবিধার্থে একটি মেসেজ হোয়াটস আপ মারফৎ শেয়ার করা হয়। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজার খোলা ও বন্ধের বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হলেও নতুন নিয়ম কবে থেকে লাগু হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো নোটিশ জারি করা হয়নি। সুতরাং কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে উক্ত মেসেজে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জেলার দুটি ব্যবসায়ী সংগঠনের বার্তা এবং পাল্টা বার্তায় বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ী মহল থেকে সাধারণের মধ্যে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই বাজারের সময়সীমা সংক্রান্ত একটি নতুন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই পোস্টে উল্লেখ আছে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে প্রশাসন এই নিয়ম চালু করবে। আর তারপরই উল্লেখ করা হয়েছে, মাছ ও সবজি পাইকারি বাজার সকাল ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সকাল ১০টার মধ্যে খুচরো মাছ ও সবজি বাজার বন্ধ হয়ে যাবে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মুদিখানা সহ সমস্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। বিকেল ৫টার পর কোনো ব্যবসা খোলা রাখা যাবে না। শেষে পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স সংগঠন এর নামও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। আর এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে এই পোস্টের সত্যতা জানতে চেয়ে প্রশ্ন আসতে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমের কাছে।