ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ৪ মাস আগে নিখোঁজ বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল দত্তের ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট জমা পড়ল বর্ধমান আদালতে। সম্প্রতি বর্ধমানের বেচারহাট এলাকা থেকে একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার করার পর সেটিই চঞ্চল দত্তের দেহ কিনা তা জানতে ডিএনএ টেষ্ট করানো হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, টেষ্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই মৃতদেহই চঞ্চল দত্তের বলে ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এব্যাপারে এখনও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রীলাদেবী।
উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের ৩নং ইছলাবাদ এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল দত্তের স্ত্রী শ্রীলা দত্ত জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সকালে তাঁর স্বামী চঞ্চল দত্ত বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। কিন্তু তারপর আর তিনি ফেরেন নি। তাঁকে ফিরে পেতে জেলা পুলিশের কাছে বারবার দরবার করেছেন। জানানো হয় সিআইডির কাছেও। আবেদন করা হয় খোদ রাজ্যপালের কাছেও। কিন্তু ৪ মাস হয়ে গেলেও চঞ্চলবাবুর কোনো হদিশই পুলিশ দিতে পারেনি। তিনি জানিয়েছেন, গত মে মাসের শেষ দিকে তাঁকে একটি নরকঙ্কাল দেখিয়ে তা চঞ্চলবাবুর বলে দাবী করে পুলিশ। বর্ধমানের বেচারহাট এলাকা থেকে সেই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু সেটাই যে চঞ্চলবাবুর মৃতদেহ তার যথেষ্ট প্রমাণ তাঁকে পুলিশ দেখাতে পারেনি বলে দাবী করেন শ্রীলাদেবী।
এই পরিস্থিতির মাঝেই মৃতদেহের ডিএনএ টেষ্ট করানো হয়। অবশেষে সেই রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। চঞ্চল দত্তের পরিবারের এক ঘনিষ্ট ব্যক্তি জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ সকালে চঞ্চলবাবু নিখোঁজ হন। পরেরদিনই বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়রী করা হয়। এরপর পুলিশ ৬ এপ্রিল বেচারহাট এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর মে মাসের শেষ নাগাদ পুলিশ চঞ্চল দত্তের পরিবারকে ওই মৃতদেহ সম্পর্কে জানান বলে পরিবার সূত্রে দাবী করা হয়েছে। এদিকে, চঞ্চলবাবুর হদিশ পেতে সম্প্রতি বর্ধমান শহরের কার্জনগেটের সামনে ধর্ণায় বসেন গোটা পরিবার।
বিজ্ঞাপন