বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ নিখিলানন্দ সর। বাম আমলে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বও সামলিয়েছেন। গতকালই ছিল তার জন্মদিন। বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুরের বাড়িতেই পালন হয়েছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠান। হঠাৎই রাতের দিকে অসুস্থতা অনুভব করেন তিনি। ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
নিখিলানন্দ সর ছিলেন রাজনীতির এক বর্নময় চরিত্র।তাঁর সাহস ও লড়াকু মেজাজ ও জমির আন্দোলনে ভুমিকা আজও চর্চিত হয়। ১৯৩৬ সালে জন্ম মঙ্গলকোটের নিগনে। ১৯৫৮ সাল হতেই বাম আন্দোলন ও জমির আন্দোলনে যুক্ত হন। কিছু বছর যবগ্রাম হাই স্কুলে শিক্ষকতা। তারপর সিপিআই(এম)পার্টির সর্বক্ষনের কর্মী। ৭০ দশকে আধা ফাসিস্ত সন্ত্রাসে আত্মগোপন করেছিলেন গুজরাট,পাঞ্জাব ও হিমাচলে। ১৯৬৯,১৯৭১,১৯৭৭,১৯৮২,১৯৮৭ সালে মঙ্গলকোট কেন্দ্রের বিধায়ক। ১৯৯৫ হতে অবিভক্ত বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে বর্ধমান কেন্দ্র হতে লোকসভার সদস্য। মাঝে কয়েকবছর তন্তুশ্রীর চেয়ারম্যান। বিগত কয়েক বছর খুব অসুস্থ ছিলেন তিনি। এরপরই রাজনীতির কর্মকান্ড হতে নিজেকে গুটিয়ে নেন নিখিল বাবু নিজেকে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ডায়াবেটিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। নিখিলানন্দ সরের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই নিখিলবাবুর হটুদেওয়ানের বাড়ীতে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন সাংসদ সাইদুল হক,প্রাক্তন বিধায়ক সাজাহান চৌধুরী,সিপিআই (এম) নেতা গনেশ চৌধুরী ও দুর্যোধন সর প্রমুখ নেতৃত্ব ও বহু সাধারন মানুষ। এছাড়াও প্রাক্তন জেলাপরিষদের বাম নেতৃত্ব ও জেলা কমিটির সদস্যরা তার বাড়িতে আসেন। মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। এদিন তাঁর মরদেহ ভাতার ও বলগোনা পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।