বাংলা বছরের প্রথম দিনে পুজো দিতে ভিড় উপচে পড়ল বর্ধমান সর্বমঙ্গলা মন্দিরে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে ভির উপচে পড়ল বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা 

বিজ্ঞাপন
সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। ১লা বৈশাখ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল পাঁচটা থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছিল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার। আর সকাল থেকেই ভক্তরা দেবীর কাছে সারা বছর যাতে মায়ের কৃপায় ভাল কাটে তার জন্য প্রার্থনা জানাতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ভিড় করতে শুরু করেন সর্বমঙ্গলা মন্দির চত্বরে। এরই পাশপাশি বছরের প্রথম দিনে ব্যবসার নতুন খাতা পুজো দিতে মন্দিরে এসেছিলেন প্রচুর ব্যবসায়ী।

মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখের দিন প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষ মায়ের পুজো দিতে মন্দিরে আসেন। গত দুবছর করোনার কারণে বিধিনিষেধ থাকায় মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের নতুন করে মন্দির চত্বরে ভিড় উপচে পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এবছর প্রায় ৪০হাজার মানুষ নববর্ষের পুজো দিতে মন্দিরে এসেছেন। প্রায় ৮০০ কুপন বিতরণ করা হয়েছিল মায়ের অন্নভোগ সংগ্রহের জন্য। সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, মোট প্রায় ১৩০০ভক্ত দের মধ্যে অন্ন ভোগ বিতরণ করা হয়েছে।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে, নববর্ষ উপলক্ষে মন্দির চত্বরের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও মন্দিরের ভিড় সামলাতে ও আগত ভক্তদের সুবিধা অসুবিধা নজরে রাখতে এদিন সকাল থেকেই হাজির ছিল ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ এর স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রশ বর্ধমান শাখা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, সেবিকাগণ ও বর্ধমান থানার পুলিশ। এছাড়াও মন্দিরের চারদিকে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থে। 

এদিন সস্ত্রীক খোদ পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে উপস্থিত হয়ে বর্ধমানবাসীর শুভ কামনায় পুজো দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী সহ জেলা পুলিশের একঝাঁক আধিকারিক। এরই পাশাপাশি নববর্ষের পুজো দিতে মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আরো পড়ুন