ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: শীত পড়তেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি ইতিমধ্যেই স্বপরিবারে বেড়িয়ে পরতে শুরু করেছেন নানান দিকে ছুটির আমেজ নিতে, পাশাপাশি অনেকেই তাদের সন্তানদের নিয়ে চিড়িয়াখানা, তারামন্ডল, বিনোদন পার্কে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ বা পাড়ি জমাচ্ছেন কামারপুকুর থেকে মায়াপুরে। বাদ নেই বাঙালির ‘দীপুদা’, তাই দীঘা, পুরি, দার্জিলিং কার্যত জমজমাট পর্যটকদের ভিড়ে। কিন্তু এরই মাঝে মহা সমস্যা হচ্ছে যারা চান বাড়ির পোষ্যদের নিয়েই ছুটি কাটাবেন, আনন্দ ভাগ করে নেবেন এদের সঙ্গে এই শীতের। তারা কোথায় যাবেন?
সাধারণত দেখা যায় কোনো হোটেল বা রিসর্টে পোষ্যদের থাকার অনুমতি দেয়না কর্তৃপক্ষ। ফলে পোষ্যদের ঘরে আবদ্ধ রেখে বাধ্য হয়েই বর্ষশেষের মূহুর্তে বর্ষবরণের উন্নাদনায় মাততে বাধ্য হন অনেকেই। আবার অবলা এই প্রাণীগুলোর কথা চিন্তা করে অনেকেই নিজেদেরকেও ঘরবন্দী করে নেন এই সময়ের আনন্দ উপভোগ থেকে।
আর এবার সেই সমস্যারই অভিনব সমাধান নিয়ে এগিয়ে এলেন এক পোষ্য প্রেমী। বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে নবাবহাট এলাকার একটি টাউনশিপে তৈরী হয়েছে ‘পোষ্য বান্ধব হোম-স্টে’। নাম ‘মাটির বাড়ি’। এখানে পর্যটকদের সাথে তাদের পোষ্যদেরও অবাধ অনুমতি অতিথি হিসাবে। পোশ্যদের জন্যও এখানে থাকছে বিশেষ অ্যাপায়নের ব্যবস্থা। অভিনব এই পরিকল্পনার খবর ইতিমধ্যেই জেলা তথা রাজ্য সহ নানান প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হওয়া বহু পোষ্যপ্রেমী পর্যটকদের মধ্যে।
বর্ধমান শহরের অদূরেই পরিবেশবান্ধব এই হোম-স্টে থেকে মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন আপনার মনপসন্দ ডেস্টিনেশনে। বোলপুর, কামারপুকুর, ভালকি, দরিয়াপুর, কালনা, কাটোয়া, পুর্বস্থলীর চুপি চর সহ একাধিক জায়গায়। সারাদিন সেখানে ঘুরে রাতে ফিরে আসতে পারেন বর্ধমানের এই হোম-স্টে তে। এখানে থেকেই দেখে নিতে পারেন বর্ধমানের নানা ঐতিহাসিক স্থান। হাঁটা পথে দামদর নদ। আরো কিছু দর্শনীয় স্থান। স্বাভাবিকভাবেই শহরের বাইরে নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পোষ্য প্রেমী ভ্রমণ পিপাসু পরিবার।
স্বাতী গুহ, সত্যজিৎ ঘোষের মতন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু পোষ্য প্রেমী পর্যটক ইতিমধ্যেই এই নতুন ব্যবস্থাপনার ভুয়সী প্রসংশা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রত্যেক দর্শনীয় স্থানগুলিতে এই ধরনের ব্যবস্থা করা খুব প্রয়োজন। আর এই অভিনব পরিকল্পনা যাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত সেই রোশনি দাস ভট্টাচার্য যিনি নিজেও একজন পোষ্যপ্রেমী তিনি বলেন, ‘ আমার বাড়িতে রয়েছে চারটি কুকুর, ৩টি বেড়াল। কোথাও বেড়াতে গেলে এদের কে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবলেও বাস্তবে সম্ভব হয়ে উঠত না। আমার মতোই অনেকেরই এই সমস্যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও কোথাও বেড়োতে পারেননা। সেই সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবেই এহেন ভাবনা।’
রোশনি দাস ভট্টাচার্য বলেন,’ পোষ্যদের জন্যও এখানে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রীতিমত বিশেষ অতিথি জ্ঞানেই। আর যাদের পোষ্য নেই তাঁদের কাছেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, মুক্ত বাতাসে, সবুজ পরিবেশে একদিন ছুটি কাটাতে এই শীতের মরশুমে ঘুরে যেতেই পারেন বর্ধমান শহরের জাস্ট লাগোয়া এই ‘মাটির বাড়ি’ দিয়ে একবার। এক অন্য অনুভূতির স্বাদ উপভোগ করবেন বলেই আশা রাখি।’
উৎসুক পোষ্য প্রেমীরা যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে – 09647503386