বর্ধমানে হারিয়ে যেতে বসা জংলী খরগোশ উদ্ধার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: টানা বৃষ্টির জেরে একদিকে যেমন জলাধার গুলো থেকে জল ছাড়া চলছে, বাড়ছে বিভিন্ন নদনদীর জলস্তর, অন্যদিকে অবিরাম বৃষ্টির ফলে মাঠ ঘাট, ঝোপ জঙ্গল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এই সমস্ত জায়গায় গর্ত করে বসবাসকারী বন্য প্রাণীরা নিজেদের আস্তানা ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। আর এর ফলে হিংস্র প্রাণীদের খপ্পরে পড়ে প্রাণ যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত কিছু নিরীহ প্রাণীর। সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর এলাকায় আচমকাই এরকমই একটি জংলী খরগোশ ( black naped hare ) স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

গৃহস্থ কার্তিক দাস জানিয়েছেন, সম্ভবত শিয়াল জাতীয় প্রাণীর তারা খেয়ে খরগোশ টি ভয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। এই প্রজাতির খরগোশ গত দশ বছরে এই এলাকায় নজরে আসেনি। তবে এক সময় এদের দেখা পাওয়া যেত। শিয়াল ও অন্যান্য প্রাণীদের উৎপাতে এবং চোরাশিকারি দের জন্য এই প্রজাতির খরগোশের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই হটাৎ এই জংলী খরগোশের দেখা পাওয়ায় পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্য দের খবর দেওয়া হয়। সেই সংস্থা থেকে রাতেই অর্ণব দাস ও অন্যান্যরা এসে খরগোশ টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

অর্ণব দাস জানিয়েছেন, পুরুষ খরগোশ টির বয়স আনুমানিক ৪০দিন। এই প্রজাতির খরগোশ বহু বছর এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে এখন বন্য প্রাণীদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেক বদলেছে। ফলে চোরা শিকারিদের উৎপাত অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে জনবসতি বাড়ায় শিয়াল জাতীয় প্রাণীরাও লোকালয় থেকে দূরে থাকে। কিন্তু ফের বহু বছর পর আবার কাঞ্চননগর এলাকায় জংলী খরগোশের দেখা পাওয়া যাওয়া একটা পরিবেশের জন্য সুখবর। আমরা এই খরগোশ টির পরিচর্যা করে উপযুক্ত বয়স হলেই এই এলাকাতেই পরিবেশে ছেড়ে দেবো, যাতে সে বংশ বিস্তার করতে পারে।

আরো পড়ুন