পূর্ব বর্ধমানের একাধিক কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন দুষ্কৃতি

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কালীপুজোর রাত থেকে শুরু করে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার দিয়াশা, ব্রজপুর, গলসির খানো, ভাতারের আমরুন ও অন্যান গ্রামে একাধিক কালী মন্দিরে মায়ের সোনা ও রুপার গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বিভিন্ন থানায় এই সমস্ত চুরির অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপর প্রতিটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি টিম তৈরি করে দেওয়া হয় এই চুরির চক্রটিকে ধরার জন্য। এরপরই রবিবার ভেদিয়ার অবন সেতুর কাছে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে মন্দিরগুলোতে চুরি যাওয়া বেশ কিছু গহনা ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের নাম উদয় বেজ, পবন বেজ ও সুলতান বেজ। এদের সকলের বয়স ২০ থেকে ২২বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানে ও বাকি দুজনের বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায়। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা অপারেশন সম্মন্ধে বিস্তারিত জানিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক প্রীতম বিশ্বাস। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ’কালীপুজোর পর থেকেই গুসকরা, ভাতার ও গলসি থানা এলাকার একাধিক মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমার গহনা চুরির ঘটনা ঘটছিল। আমরা তদন্তে নেমে বেশকয়েকজন কে চিহ্নিত করি। এরপর একটি টিম তৈরি করে এই চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। ইতিমধ্যে তিনজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের বাকিদের ধরতে প্রক্রিয়া চালানো হবে।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিনব কায়দায়  দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার চাইবার আছিলায় মন্দিরে মন্দিরে রেইকি করে আসতো এই চোরেরা। এরপর গভীর রাতে দল বেঁধে গিয়ে চুরি করছিল এই চক্রের বেশ কয়েকজন। এরা দিনের বেলায় চামচিকি, বাদুড় ধরে বেড়ায় অথবা মৌমাছির চাক ভেঙে বেড়ায় বলে গ্রামে গ্রামে ঘুরছিল। এদের সাথে বৌ, বাচ্চা থাকতো। যেখানে সেখানে তাঁবু খাটিয়ে এরা থেকে যেতো। চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এইসমস্ত তথ্য প্রথমে সংগ্রহ করে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় সাধারণ মানুষকে সচেতনও করা হয়। এরপর গতকাল ভেদিয়ার অবন সেতুর কাছ থেকে এই চুরি চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন