ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিধায়ক হিসাবে শপথ নেবার পর ৭২ ঘণ্টাও কাটেনি বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের। আর তারই মাঝে রীতিমত মাষ্টার স্ট্রোক দিয়ে পথে নামলেন। চলতি করোনা পরিস্থিতি কে হাতিয়ার করে বেসরকারী নার্সিংহোমগুলি যে কার্যত অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন তা নিয়েই সোমবার তিনি জোড়ালোভাবে চিঠি লিখলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্যস্বাস্থ্যাধিকারিক ডা. প্রণব রায়কে।
বিজ্ঞাপন
খোকন দাস এদিন জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরে একাধিক নার্সিংহোম তৈরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করার অভিযোগ পাচ্ছেন। এদিন মুখ্যস্বাস্থ্যাধিকারিককে লেখা চিঠিতে সরাসরি তিনি বর্ধমান শহরের শুলিপুকুর এলাকার একটি নার্সিংহোমেরও উল্লেখ করেছেন। খোকন দাস জানিয়েছেন, অবিলম্বে নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে বৈঠক করা হোক। না হলে গ্রামের মানুষরা করোনার চিকিৎসা করাতে এসে তাঁদের সর্বসান্ত হতে হচ্ছে। খোকন দাস জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পাচ্ছেন করোনা পজিটিভ না হওয়া সত্ত্বেও রোগীদের করোনা পজিটিভ বলে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে।
এদিন মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক জানিয়েছেন, তিনি বিধায়কের চিঠি পেয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অপরদিকে, এব্যাপারে প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম এণ্ড হসপিটাল এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি সেখ আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, নবনির্বাচিত বিধায়ক যে অভিযোগ করেছেন তা যথার্থ। ইতিমধ্যেই তাঁরাও কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, নার্সিংহোম ব্যবসায় কিছু অসাধু মানুষ ঢুকে পড়ায় এই ঘটনা ঘটছে। এব্যাপারে তাঁরা সংগঠনগতভাবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন।
আলহ্বাজউদ্দিন বাবু জানিয়েছেন, সংগঠনগতভাবে তাঁরা রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের কাছেও আবেদন জানাচ্ছেন, এব্যাপারে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার জন্য। পাশাপাশি একটি জোড়ালো কমিটিও গঠন করা হোক – যাঁরা এই বিষয়গুলি দেখে ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানিয়েছেন, করোনা মহামারির এই সময় সরকারীভাবে রেট বেঁধে দেওয়ারও তাঁরা দাবী জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়কও এদিন মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের কাছে সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরী করারও দাবী জানিয়েছেন।