ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দামোদর হেড ওয়ার্কস ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তর ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে ১৫ জুন সকালে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এই মর্মে গত ১২ জুন পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন কে নোটিস দিয়ে এই বিষয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝাড়খণ্ড সহ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও দুই বর্ধমানে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। জেলা প্রশাসন গুলোর পক্ষ থেকেও দামোদর নদে বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে সমস্ত ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়। নদী থেকে বালি উত্তোলনের মেসিন ও অন্যান্য সামগ্রী সাময়িক সরিয়ে নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধের কোন নির্দেশিকা জেলা প্রশাসন গুলোর পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি।

কিন্তু জলাধার গুলো থেকে ক্রমপর্যায়ে জল ছাড়ার পরই নদের জল বাড়তে শুরু করে। পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গায় নদীর মধ্যে থাকা অস্থায়ী বাঁশের সেতু জলের তোরে ভেঙে ভেসে যায়। পাশাপশি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার শিল্লা ও গোহগ্রাম এলাকাতেও বালি ঘাটের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী রাস্তা জলের তোরে ভেঙে ডুবে যায়। আর এরই মাঝে বুধবার সন্ধ্যার পর দামোদরের জল বাড়তে থাকায় গলসির শিকারপুরে সোন্দা এলাকায় একটি বালি খাদানে দাঁড়িয়ে থাকা ১৩ টি বালির লরি জলের মধ্যে আটকে পরে।
কয়েকটি লরি কার্যত জলে ডুবে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বৃহঃস্পতিবার সকালে তিনটি লরি কে জল থেকে ক্রেনের সাহায্যে টেনে তুলে আনতে সক্ষম হলেও, এখনও বাকি লরি গুলোকে নদী থেকে বের করে আনা যায়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের নির্দেশ ও সতর্কতা উপেক্ষা করে ইজারাদার কিভাবে বালি তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল নদী থেকে সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে বর্ধমান ১ব্লকের বড়শুল এলাকায় দামোদরের বুকে একটি বালি খাদানের মধ্যেই রাখা দুটি জেসিবি মেসিন জলের মধ্যে আটকে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে দামোদরের জল বাড়ার সাথে সাথে বালি ঘাট গুলোর যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল সেগুলো না নেওয়ায় দু একটি জায়গায় বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে করছে স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে প্রশাসনের একাংশ।