শপথের দিনেই গরহাজির পঞ্চায়েতের প্রধান পদপ্রার্থী, অচলাবস্থা রায়নার নাড়ুগ্রামে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিনেই খোদ প্রধান পদের দাবিদার অনুপস্থিত থাকায় ভেস্তে গেল শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ ব্লকের নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে বুধবার বোর্ড গঠন করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমনকি কোন রকম অশান্তি যাতে না হয় তার জন্যও ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন রাখা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে গেলেও প্রধান পদের দাবিদার তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনে জয়ী কংগ্রেসের একমাত্র প্রার্থী মিনতি মাণ্ডি নিজেই হাজির না হওয়ায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনই হল না।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসন ছাড়া বাকি সবকটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। কিন্তু এই পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। আর সেই একমাত্র আসনটি তে জয় ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেসের মিনতি মাণ্ডি। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এই মুহূর্তে আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে সব পক্ষ বলে জানা গেছে। শাসকদলের কর্মীদের দাবি, এটি হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়। এখানে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। হাইকোর্ট যে রায় দেবে সেটাই তারা মেনে নেবেন। অন্যদিকে এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসকদলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করে রাখা হয়েছিল। তাই ভয়ে মিনতি মাণ্ডি পঞ্চায়েতে উপস্থিত হতে পারেননি। যদিও প্রধান পদপ্রার্থী মিনতি মাণ্ডি জানিয়েছেন,’বিশেষ কারণে তিনি এদিন পঞ্চায়েতে আসতে পারেননি।’

অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ কে অযৌক্তিক জানিয়ে রায়না-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল বলেন, ‘কেউ কাউকে ভয় দেখায়নি। কাউকে মারধর করা হয়নি। কোনও জমায়েতও কোথাও ছিলনা। প্রশাসনের কোনো আধিকারিক আমাকে ফোন করেননি। উনি কেন আসেননি তা আমরা জানি না। জানার ইচ্ছাও নেই। তবে, যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, আদালত যা রায় দেবে আমরা তাই মেনে নেব।’ কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কুতুবুদ্দিন শেখ এবং যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলেন, ‘গায়ের জোরে পঞ্চায়েতের দখল নেওয়ার জন্যই প্রধান কে আটকানো হচ্ছে। মানুষের রায়কে তৃণমূল কংগ্রেস মানে না, এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে।’

আরো পড়ুন