ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: দীর্ঘদিনের ডিভিসির নিকাশি নালা কে অবৈধভাবে বন্ধ করে দিয়ে ৩৭ ফুট চওড়া (কম-বেশি) একটি রাস্তা নির্মিত হচ্ছে গার্ডওয়াল সহ। গার্ডওয়াল টি নির্মিত হচ্ছে নিকাশি নালার মাঝ বরাবর। ফলে বর্তমানে নিকাশি নালাটি ২০ ফুট চওড়ার জায়গায় মাত্র ৫-৬ ফুট চওড়া ড্রেনের মতো তৈরি হয়েছে। এমনকি কিছু সুবিধাভোগী এলাকার মানুষ নিজেদের স্বার্থে নিকাশি নালার বাঁধ বা পাড়টিকে সম্পূর্ণরূপে কেটে ফেলার পরিকল্পনা করেছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন।
মূলত বালির গাড়ির যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা বলেই গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন। এর ফলে পাড়ে অবস্থিত ৪০টি তরতাজা গাছও কাটা পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। এক্ষেত্রেও বন দপ্তরের কোন অনুমতি নেই বলেই অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের দলুইবাজার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁচাই মৌজার পাল্লা ৪ নং ক্যাম্প এলাকায়।
গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই এই অবৈধ নির্মাণকাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সেচ দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট অফ ইঞ্জিনিয়ার কে গণ সাক্ষর সম্বলিত দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০ ফুট রাস্তা আছে। সেখানে ১২ফুট বাড়িয়ে নিকাশি নালা কে বন্ধ করে ৩৭ফুট রাস্তা কিভাবে, কার মদতে তৈরি হচ্ছে। এমনকি নিকাশি নালাটির উপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে জল নিকাশির জন্য সেটিও সম্পূর্ণরূপে বাঁকা ও অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে।
এলাকার জল নিকাশের এই খালটিকে বাঁচানোর তাগিদে গ্রামবাসীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চাঁচাই মৌজার চাষিরাও এর তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। কারণ এই খালের মাধ্যমেই এলাকার চাষের জমিতে জল আসে। অভিযোগ এরপরও দলুই বাজার ২পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করাচ্ছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে দলুইবাজার ২পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস বলেন, ‘ অভিযোগ শুনেছি। তবে ঘটনা সম্পর্কে আরও ভাল বলতে পারবেন পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া এই প্রসঙ্গে বলেন,’ অভিযোগ পায়নি, তবে দ্রুত সবার সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’